সুশান্ত সিং এর সাথে মিল খুঁজতে গিয়ে সিদ্ধার্থের মৃত্যুর কারণ হিসাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো শেহনাজ কে

ডেস্ক: গত বছর 30 শে জুন আমরা হারিয়েছি সুশান্ত সিং রাজপুতের মত একজন প্রাঞ্জল অভিনেতাকে। সেই ঘটনার 1 বছর ও 3 মাসের মাথায় অকালমৃত্যু হয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশে জানিয়েছিল আত্মঘাতী সুশান্ত, অন্যদিকে জানা যায় সিদ্ধার্থ ছিলেন হৃদরোগে আক্রান্ত।

সুশান্ত এবং সিদ্ধার্থ উভয়েই ধারাবাহিক থেকে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এবং বলিউডে নিজেদের প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিলেন। উভয়েই ছিলেন ভার্সাটাইল অ্যাক্টর।

সিদ্ধার্থের আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ গোটা বলিউড। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরটি নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ সিদ্ধার্থের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে মানসিক অবসাদের কথা বলতে শুরু করেন। যদিওবা অভিনেতার পরিবারের তরফে বারং বার বলা হয়েছে তার মৃত্যুর সঙ্গে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেসন কোনো কিছুরই যোগ নেই। তবু এই বিষয়টি নিয়ে থামেনি চর্চা।

সুশান্ত সিংহ মারা যাওয়ার পর তার শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে। সিদ্ধার্থ কেও কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।

গতবারে সুশান্তের মৃত্যুর সময় উঠে এসেছিল তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর নাম। যেখানে রিয়ার উপর একাধিক অভিযোগ ওঠে। সুশান্তের অকাল মৃত্যুর পেছনে কারণ হিসেবে গণ্য করা হয় রিয়া চক্রবর্তী কে। আইনের চোখে সুশান্ত কাণ্ডে রিয়া নির্দোষ প্রমাণিত হলেও দেশবাসীর কাছে এখনও পর্যন্ত মেলে ক্ষমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে।

এবারেও সেই ঘটনারই অকারণ পুনরাবৃত্তি না হয় এমনটাই বার্তা কিছু নেটিজেনদের। আসলে সিদ্ধার্থ শুক্লা এবং শেহনাজ গিলের মধ্যে থাকে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অবগত সকলেই। দর্শকদের কাছে এই দুজনের জুটি বেশ পছন্দেরই। কিন্তু এমন দুর্ঘটনার কথা ভ্রুনাক্ষরেও কেউ ভেবে দেখেনি। এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে কিছু নিম্ন মানসিকতার মানুষ সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পিছনে দায়ী করতে থাকে শেহনাজকে। অকারনেই এই দোষারোপের বিরুদ্ধে অনেকেই জানান মতামত।

এক জন টুইট করে লেখেন, “সিদ্ধার্থের মা ও বোনের জন্য পার্থনা করি। কিন্তু পাশাপাশি আমরা শেহনাজ এর জন্য ও খারাপ লাগছে। ছোটো থেকেই মেয়েটি অনেক কিছু সহ্য করে বড়ো হয়েছে। শেষমেশ নিজের আনন্দ খুঁজে পেয়েছিল সিদ্ধার্থের মধ্যে। সিদ্ধার্থ কে ও নিজের দুনিয়া বলতো। কিন্তু এত কিছুর পর যদি সে শোক কাটিয়ে একটু হাসে তাহলে লোকে তাকে নিয়ে কথা বলবে।”