বিজেপি বিরোধী দলগুলোর সাথে ব্রেকফাস্ট বৈঠকের পর সাইকেলে চড়ে দিল্লির রাজপথে প্রতিবাদে রাহুল

ডেস্ক: চলছে সংসদ বাদল অধিবেশন। বিজেপিকে চাপে ফেলতে একের পর এক কৌশল বেছে নিচ্ছে বিরোধী দলগুলি। তাদের হাতে এখন নতুন মুদ্দা পেগাসাস ইস্যু। আগামী 13 তারিখ পর্যন্ত চলবে বাদল অধিবেশন। আর সেই ক’দিন বিজেপিকে নাস্তানাবুদ করার একটি ক্ষুদ্র সুযোগও হাত ছাড়া করতে মোটেই রাজি নয় বিরোধী দলগুলি।

আর এই চিন্তাভাবনা কে বাস্তবে রূপান্তর করতে নানান পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন বিরোধী দলগুলি। এর আগেও দু-একবার বিরোধী দলগুলি কে নিয়ে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস। আর এবারে সরাসরি ব্রেকফাস্ট মিটিংয়ে বিরোধী দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানালেন রাহুল গান্ধী। দিল্লির ঐতিহ্যবাহী কনস্টিটিউশন ক্লাবে আয়োজিত হয়েছিল বৈঠকটি। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সৌগত রায় ও কল্যাণ ব্যানার্জির মত তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতারা। এছাড়াও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি, শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি সহ 15 টি বিরোধীদলের প্রতিনিধিরা। তবে উপস্থিত ছিলেন না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি এবং মায়াবতী বিএসপি প্রতিনিধিরা।

ঠিক হয়, লোকসভায় বিজেপি সাংসদদের চাপে ফেলতে মক পার্লামেন্ট, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি করবেন বিরোধীরা। পাশাপাশি পেগাসাস ইস্যু তো আছেই। বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী ঐক্য আরো মজবুত করার কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী।

তবে বৈঠকের থেকেও বেশি নজর কাড়লো রাহুল গান্ধীর বৈঠক শেষে জ্বালালির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করার ধরন। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব থেকে সোজা সাইকেল নিয়ে সংসদ ভবনের দিকে রওনা দেন সকল বিরোধী সাংসদ। তালে তাল মেলালেন রাহুল গান্ধী নিজেও। উঠে পড়লেন দু’চাকায়। ধারণা করা যায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৈঠকেই এইভাবে সাইকেল মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন রাহুল। আর সেই পরিকল্পনা জানানো মাত্রই দেরি করেননি কেউ। এই প্রতিবাদের জেরে দিল্লির রাস্তায় তৈরি হয়েছিল খানিকটা যানজট।

অন্যদিকে রাজ্যসভায় পৌঁছে বিক্ষোভের ঝড় তোলেন বিরোধীরা। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রবল হট্টগোল করেন তারা যার ফলে শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভা।