গ্রেফতারির পর 10 কোটি টাকার দাবি করে আইনি নোটিশ পান রণদীপ হুডা, ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি

ডেস্ক: বেশ কিছু দিন আগেই টুইটারে ট্রেন্ড করছিল হ্যাশট্যাগ ‘অ্যারেস্ট রণদীপ হুডা’। কারণ ছিল 2012 সালের 43 সেকেন্ডের একটি ভিডিও যা মিডিয়া হাউজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তোলা হয়েছিল। সেখানে রণদীপ বহু lজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী কে অপমান করে তার বিরুদ্ধে জাত ও যৌনতা নিয়ে কৌতুক করেছিলেন। কৌতুক করার পরও সামনে বসে থাকা দর্শকদের সঙ্গে রণদীপকে হাসতেও দেখা যায়।

ভিগো ভিডিও শেয়ার করে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, “একজন দলিত মহিলার বিরুদ্ধে যেভাবে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা রণদীপ জাত এবং যৌনতা নিয়ে কৌতুক করেছেন তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সমাজ কতটা বর্ণবাদী এবং যৌনতাবাদী।” সামনে বসে থাকা দর্শকদেরও সমালোচনা করেন তিনি। এবং এই নিয়ে শুরু হয় টুইটারে‘অ্যারেস্ট রণদীপ হুডা’হ্যাশট্যাগ।

এরপর ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন তিনি। এবার গীতিকার ও চিত্রনাট্য লেখক প্রিয়াঙ্কা শর্মা 10 কোটি টাকার আইনি নোটিশ পাঠালেন রণদীপকে। মহিলার অভিযোগ, রণদীপ তার সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার থেকে চিত্রনাট্যের নিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন রণদীপ।

জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই প্রিয়াঙ্কার সাথে যোগাযোগ হয় রণদীপের। রণদীপ তাকে স্ক্রিপ্ট ও গান পাঠাতে বললে সেই মত 1200টি গান ও 40 টি গল্প তিনি পাঠান। প্রিয়াঙ্কার আরো অভিযোগ রণদীপের ম্যানেজার পাঞ্চালী চৌধুরী, মেকআপ আর্টিস্ট রেনুকা পিল্লাইকেও তিনি ইমেল ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত চিত্রনাট্য পাঠালেও বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই গল্প নিয়ে কোনো কাজ করেনি তারা।

নোটিশে আরো লেখা রয়েছে, প্রিয়াঙ্কা তার চিত্রনাট্য ও গান ফেরত পেতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়। অকারণে এই হয়রানির জন্য রণদীপের থেকে 10 কোটি টাকা দাবি করেছেন সেই মহিলা। তবে এখনো পর্যন্ত রণদীপের থেকে এই প্রসঙ্গ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো রকম মন্তব্য আসেনি।

সাথেই জানিয়ে রাখি, হ্যাশট্যাগ ‘অ্যারেস্ট রণদীপ হুডা’ট্রেন্ডিং এর পর সমস্ত দিক থেকে চাপ খেতে শুরু করেন অভিনেতা রণদীপ হুডা। সোশ্যাল মিডিয়াতে মিম ভাইরাল হতে থাকে তার। তবে শুধু অ্যারেস্ট ট্রেন্ডই নয়, এই কারণে কনভেনশন ফর দ্য কনসার্ভেশন অফ মাইগ্রেরিটি স্পিসিজ় অফ ওয়াইল্ড অর্থাৎ রাষ্ট্র সংঘের পরিযায়ী বন্য প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য প্রচারকের পদ থেকেও সরানো হয়েছিল অভিনেতাকে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রণদীপের এমন মন্তব্য নীতিগতভাবে রাষ্ট্রসংঘ বিরুদ্ধ। বর্ণবিদ্বেষী, লিঙ্গবৈষম্যকে মোটেই সংগঠন সমর্থন করে না। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, ২০১২ সালের ওই ভিডিও সম্পর্কে জানতেন না তাঁরা, তাই ২০২০ সালে তাঁকে মাইগ্রেটরি স্পিসিজ় অফ ওয়াইল্ড অ্যানিমেলস-এর দূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *