নর্থ চ্যানেল জয় করে ঘরে ফিরলেন সালকিয়ার গর্ব রিমো সাহা।

ডেস্কঃ ইউরোপের নর্থ চ্যানেল জয় করে ঘরে ফিরলেন বিশেষভাবে সক্ষম সালকিয়ার রিমো সাহা। এই অভিযানে রিমোর সঙ্গে ছিলেন আরও ছ’জন৷. স্বপ্নপূরণের পথে সব বাধাই যে তুচ্ছ, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন রিমো সাহা।

ইংলিশ চ্যানেল ও ক্যাটলিনা চ্যানেলের পর এবার ইউরোপের নর্থ চ্যানেল জয় করলেন রিমো।এই বছর প্রথম রাজ্য থেকে অংশ নিয়েছিলেন রিমো। তার অদম্য সাহস আর অধ্যাবসায় তাঁকে সাফল্যও দিল।

তবে তিনি এই অভিযান ছ’জন মিলে রিলের মাধ্যমে তাঁরা সম্পূর্ণ করেন।
আজকে হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতেই পেলেন ,সালকিয়াবাসীর উষ্ণ অভ্যার্থনা। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে স্টেশনেই উপস্থিত ছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক সহ এলাকাবাসীরা।

স্টেশনে নেমে অভিভূত রিমো জানান এভাবে অভ্যার্থনা পাবেন আশা করেন নি। তিনি ভীষণ আনন্দিত। স্টেশনে নেমে অভিভূত রিমো জানান এভাবে অভ্যার্থনা পাবেন আশা করেন নি। তিনি ভীষণ আনন্দিত।

পাশাপাশি তিনি উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন তিনি সব সময়ে তার পাশে থেকেছেন। খোঁজ খবর নিয়েছে তার সব অসুবিধা জানা মাত্রই তার সমাধান করেছেন।

যদিও এই পুরো কৃতিত্বটাই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেন। তিনি বলেন রিমোর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বহু বছরের। ওর ফাউল তিনি ক্রীড়াদফতরের মন্ত্রীর কাছে রেখেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী যদি সাহায্য না করতেন তাহলে এটা করা সম্ভব হতো না বলেই দাবি করেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী।রিমোর কৃতিত্বের সাফল্যে খুশি তার পরিবারের সদস্য সহ এলাকার বাসিন্দারাও।

উল্লেখ্য ইউরোপের নর্থ চ্যানেল জয়ের আগে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে সরকারি চাকরির আবেদন করেন সালকিয়ার বাসিন্দা এই সাঁতারু৷ রিলের মাধ্যমে তাঁরা অভিযান করেন।

এ রাজ্য থেকে এই প্রথম অংশ নিয়েছিলেন রিমো। সাফল্যও পেলেন।
এতদূর এসেও যদি একটা সরকারি চাকরি না পাওয়া যায়, তাহলে সব সাফল্যই বৃথা হয়য়ে যাবে৷

আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ডে-র হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রিমো। এরপর মুম্বই থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বেড়াজালকে ছিন্ন করে ইতিমধ্যেই ২০১৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল পার করেছেন তিনি।

২০১৯ সালে পার করেছেন ক্যাটলিনা চ্যানেল। ২০২০ সালে নর্থ চ্যানেলের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে নেমেছিলেন রিমো। কিন্তু বাধ সাধে কোভিড। তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে অজস্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতার সেরার সন্মান।