ফোনের ওপারে থাকবে ঋতাভরী, ডিপ্রেশন কমাতে প্রাণ খুলে কথা বলুন তার সাথে

ডেস্ক: মহামারীর কারণে টানা এক বছর ধরে বহু মানুষ রয়েছে গৃহবন্দি দশায়। সংক্রমণের কারণে হারাতে হয়েছে প্রিয়জনদের। বন্ধ হয়ছে বহু মানুষের চাকরি। যাতায়াত ব্যবস্থা নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে প্রিয়জনদের কাছে ফিরতে পারছে না তারা।

মহামারী স্বাস্থ্যের সাথে মানসিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সকলকে। বহুদিন একই ভাবে জীবন যাপন করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছে অনেকে।

বহু বিশেষজ্ঞদের মতে স্বাস্থ্যের ঘাটতির সাথে সাথে মানসিক অবসাদে ভুগছে বহু মানুষ। কিন্তু বেঁচে থাকার সংঘর্ষের সাথে অনুগত লড়তে থাকায় গুরুত্ব দিতে পারছে না মানসিক অসুস্থতায়।

মেন্টাল ডিপ্রেশন বর্তমান প্রজন্ম এতটাই বেড়ে গেছে যে সূত্রে জানা যায় 264 মিলিয়ন মানুষ
ডিপ্রেশনের আক্রান্ত। তার মধ্যে প্রতি বছর 8 লাখের কাছাকাছি মানুষ ডিপ্রেশনের কারণে আত্মঘাতী হয়।

এ সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী একটি অভিযান শুরু করেন। যেখানে মহামারীর কারণে বা অন্য কারণে মানসিক অবসাদ এর মধ্যে দিয়ে ভুগতে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। যেখানে একটি টোল ফ্রি নাম্বার এ কল করে যোগাযোগ করতে পারবেন মনোচিকিৎসকদের সাথে। সাথে রয়েছে বন্ধু রাহুল দাস গুপ্ত। দুই বন্ধুর যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় এই অভিযান।

ভাগ করে নিতে পারবেন মনের কথাগুলো। অভিনেত্রী ঋতাভরী নিজের ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট শেয়ার করেন যেখানে তিনি লেখেন,  “একটা বছর ধরে আমাদের সবারই ওপর দিয়ে একটা দু:সময় চলেছে। কোভিড প্যান্ডেমিক , তার জন্য লকডাউন, কাজ বন্ধ, স্কুল কলেজপরীক্ষা বন্ধ, বন্ধ আমাদের সামাজিক মেলামেশা র স্বাভাবিক জীবন।যেন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছি।

May be an image of text that says "Let's do this! A free helpline for all who are going through mental health issues due to the ongoing pandemic! Call 18002039865 Monday to Saturday: 12-8pm Spread the message please!!"

এর ফলে কম বেশি সকলেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে, নিজেরা ভুক্তভোগী বা এই পরিস্থিতিতে দমবন্ধ অবস্থা বোধ করছে, সবার দিকেই আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবেনা। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর “সহায়তা” আছে।

কল করো: 18002039865

এই অন্ধকার টানেল টা থেকে বেরিয়ে আসার একটা যৌথ প্রচেষ্টা!! মন ভালো থাকলে পৃথিবীটাই সুন্দর হবে!!

ঋতাভরী চক্রবর্তী”

এ বিষয়ে আরও ইনস্টাগ্রাম জড়িত তিনি নিজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

ঋতাভরী এর আগেও অনেকবার এগিয়ে এসেছেন মানুষদের প্রয়োজনে, তাদের সাহায্যে।
গত মাসের তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন “আইডিয়াল স্কুল ফর দ্যা ডিফ” নামক একটি স্কুলে। যেখানে তিনি স্পেশাল শিশুদের হাতে খাদ্য ও শিক্ষার সামগ্রিক তুলে দেন।

এবারেও এক অভিনব চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *