তৃণমূল প্রেসিডেন্ট বাবলু সিংয়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেন রুদ্রনীল ঘোষ

ডেস্ক: অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ কালীঘাট থানায় তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট বাবলু সিং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাকে মারধোর করার।

সূত্রে জানা যায় ভবানীপুরের 71 নম্বর ওয়ার্ডে গুরুদ্বারের সামনে ত্রাণ দিচ্ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এবং সেখানেই এসে তৃণমূল প্রেসিডেন্ট বাবলু সিং রুদ্রনীলকে চড় মারেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রুদ্রনীল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু জিততে পারেননি তিনি।

কিন্তু সেসব ভুলে মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছা নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই চালাচ্ছিলেন ত্রাণ। আর ঠিক সেই সময় তার উপর হামলা করে বাবলু সিং ও তার দলের লোকেরা।

রুদ্রনীল জানান, “বহুদিন ধরে মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করছে আমি আমার দলের প্রায় 10 জন মিলে আজ ও ত্রাণ বিলি করছিলাম। হঠাৎ বাবলু সিং ও তার দল আমার ওপর চড়াও হয়। চিৎকার করে বলতে থাকে তুই বিজেপির ক্যান্ডিডেট হয়েছিল না এখানে কোনো ত্রাণ-ফান দেওয়া-ফেওয়া যাবে না। ও সব লাগবে না। যা করার, আমরা করব। বিজেপি কিছু করবে না। চল ফোট এখান থেকে।”

এই রকম বক্তব্য রেখে কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রুদ্রনীল ঘোষ।

কিন্তু এই অভিযোগের বিষয়ে বাবলু সিং কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ” শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রীটে দাঁড়িয়ে আবার দিচ্ছিল রুদ্রনীল। আমরা বললাম আপনি যে খাবার দিচ্ছেন তার কোনও থানা থেকে অনুমতি নিয়েছেন? তারপর থেকে উল্টোপাল্টা কথা বলতে শুরু করে রুদ্রনীল। বলতে থাকে, তোমরা এখান থেকে যাও, আমি যা ভাল বুঝছি, করছি। আমি বললাম ভালো কথা বলছি আমি, তুমি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছো? ব্যাস। এরপর কোনও মারধোর হয়নি। এটি মিথ্যে অভিযোগ।”

তবে ভোটের পর রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে post-poll ভায়োলেন্স খবর শোনা যায়। যেখানে বহু তৃণমূল কর্মীরা অবিচার অত্যাচার করে গেছে বিজেপি সাপোর্টার দের ওপর এবং একইভাবে বিজেপি সাপোর্টার অত্যাচার করে গেছে তৃণমূল কর্মীদের ওপর। ফলে দুই পক্ষ থেকেই নিহত ও আহত হয় মানুষরা।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে কে ঠিক কে ভুল সেটা বোঝা দায়।