ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের এর মৃত্যুর পর থেকে বলিউডের সাথে ড্রাগসের সম্পর্ক বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। একাধিক প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম জোড়ায় ড্রাগস কাণ্ডে। এবারে সকলকে হতভম্ব করে ড্রাগস নেওয়ার অভিযোগে ধরা পরে বলিউডে অন্যতম বিখ্যাত অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলের নাম।
গত শনিবার আরিয়ান খান কে ড্রাগস নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। এর এই ঘটনার পরেই ভাইরাল হতে থেকে শাহরুখ খানের একটি পুরনো ইন্টারভিউয়ের ভিডিও ক্লিপ। যেখানে ছেলে ড্রাগস এর নেশা করলে পুরো সম্মতি বাবার। শাহরুখ খান প্রকাশ্যে জানান সে কথা।
প্রায় 24 বছর আগে 1997 সালে টেলিভিশনে অভিনেত্রী সিমি গারেওয়ালের টক শো তে এসেছিলেন শাহরুখ খান ও তার স্ত্রী গৌরী খান। আর সেখানেই শাহরুখ খান স্পষ্ট ভাবে বলেছিলেন,“আমার ছেলের বয়স এখন ৩ কিংবা ৪। ও কিন্তু মেয়েদের পিছনে দৌড়তে পারে।” সিমি জিজ্ঞেস করেন, “৩/৪ বছর বয়সেই?” পাশে বসে আরিয়ানের মা গৌরী বলেছিলেন, আরিয়ান তার বাবার খুবই আপন। মায়ের তুলনা সে বাবার বেশি কাছের। বলেছিলেন, “আমার ছেলের ভবিতব্য এটাই, যে ও বড় হয়ে বখে যাবে।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি শাহরুখ খান। তিনি ক্যামেরায় বলেন,“আমার ছেলে যত খুশি ধূমপান করতে পারবে, ড্রাগের নেশা করতে পারবে, যৌন কর্মে লিপ্ত হতে পারবে, মহিলাদের নিয়ে যত খুশি ঘুরতে পারবে…”
Seriously Shahrukh Khan!! @narcoticsbureau
Today he has been arrested pic.twitter.com/1WfZkNkvSC
— Priya Kulkarni (@priyaakulkarni2) October 3, 2021
ছেলে আরিয়ানের ড্রাগ মামলায় জড়িয়ে পড়া ও তার গ্রেফতারি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম মন্তব্য করেননি শাহরুখ। কিন্তু অতীতে দেওয়া মন্তব্যের কারনে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে এসআরকে কে।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে আরব সাগরের তীরে একটি ক্রুজ পার্টিতে তল্লাশি চালিয়ে ছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আর সেখানেই উপস্থিত ছিল আরিয়ান। তবে শুধু আরিয়ান না, গ্রেফতার হয়েছে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সন্তান ও।
এন সি বি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এম ডি এম এ পিলস ছিল।
কিন্তু আরিয়ানের তরফে থেকে তার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ড দাবি করেন, ক্রুজে যাওয়ার কোনো টিকিট আরিয়ানের কাছে ছিল না। শুধুমাত্র তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।