“কি দরকার ছিল পর্নোগ্রাফি করার?” – রাজকে সরাসরি প্রশ্ন শিল্পার
ডেস্ক: রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারির খবর নিয়ে বলিউড মহলে চলছে উত্তাল। একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য আসছে প্রকাশ্যে। বহু মডেল ও অভিনেত্রীরাও মুখ খুলছেন একে একে। কেউ সপক্ষে তো কেউ আবার বিপক্ষে। তবে এত কিছুর মধ্যে সব থেকে বেশি যদি কেউ সমস্যাগ্রস্ত হয়ে থাকে তবে সেটা কুন্দ্রার পরিবার।
রাজের গ্রেফতারির পর থেকে দেখা যায়নি শিল্পা কে। ওইদিন সমস্ত শুটিংও ক্যান্সেল করেছিল শিল্পা। তবে জানা যায়, পুলিশি রেডের দিন শিল্পা শেট্টির ও রাজ কুন্দ্রার মধ্যে বাঁধে কথা কাটাকাটি। কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পা। তার কথানুসারে, তিনি মোটেই স্বামীর পর্নোগ্রাফি তৈরি করার বিষয়টিতে অবগত ছিলেন না।
রাজ কে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। শিল্পাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু জানা যায় জিজ্ঞাসাবাদ চলা কালীন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। রাজের সাথে ঝগড়াও হয় তার। স্বামীর ওপর চিৎকার করতে থাকেন শিল্পা। সরাসরি প্রশ্নও করেন কি দরকার ছিল পর্নোগ্রাফি করার?
এমনকি পুলিশের সামনে হাত জড়ো করে বলেছেন তিনি একটি বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাকে কিছুই জানানো হয়নি। পুলিশি সূত্রে এও জানা যায়, শিল্পা নাকি রাজকে বলেছেন, রাজের কুকীর্তির জন্য তাদের পরিবারের বদনাম হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের এনডোর্সমেন্ট সব বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গোটা পরিবার ভয়ঙ্কর আর্থিক লোকসানের মুখে পড়ছে। সমাজে থেকে এমন করার কি দরকার ছিল? এসবই প্রশ্ন করেন শিল্পা রাজকে। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে জটলা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মার্চ মাসে পর্নোগ্রাফি কেসের জন্য নয় জনকে গ্রেফতার করেছিলেন পুলিশ। রাজ তখনই নিজের গ্রেফতারের আভাস পেয়েছিলেন। ফলে সেই কারণেই সেই মাসেই তিনি পাল্টে ফেলে ছিলেন তার ফোন। ধারণা করা যায় যাতে কোনো প্রকার প্রমাণ তার ফোন থেকে পাওয়া না যায় তাই এমনটা করেন তিনি। রাজকে ফোনের বিষয়ে প্রশ্নও করা হয় তখন তিনি উত্তর জানান তিনি ফোনটি ফেলে দিয়েছেন।
একই সঙ্গে মুম্বাইয়ের অপরাধ দমন শাখার একজন অর্থনৈতিক নিরীক্ষকে নিয়োগ করেন, যিনি রাজ ও শিল্পার আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেবেন। সূত্রে জানা যায় রাজ ও শিল্পার জয়েন্ট একাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। পুলিশের অনুমান সেই অশ্লীল অ্যাপ ‘হটস্পট’ ও ‘বলিফেম’ থেকে উপার্জিত অর্থ ও সরাসরি ঢুকতো সেই একাউন্ট এ।
27শে জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজের পুলিশি হেফাজতের শেষ দিন। তবে মুম্বাই পুলিশ আরো কিছুদিন রাখতে চাইছেন। ইতিমধ্যে রাজেরই অফিসের চারজন কর্মচারী তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে রাজি হন। ফলে এ কথা স্পষ্ট রাজ কে আরো সমস্যার মুখে পড়তে হবে।