সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে উঠলো একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ
ডেস্ক: নিকৃষ্টতম অপরাধ হলো ধর্ষণ। কিন্তু গোটা দেশ জুড়ে এই অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নারী নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত আছে এমন বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠদের নাম প্রকাশ্যে আসছে। এবারে তেমনই একটি নাম সামনে চলে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে গোটা দেশ। এবারে ঘটনা কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কংগ্রেসের সভা নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব পি পি মাধবন।
তথ্য অনুযায়ী, 26 বছর বয়সী এক মহিলা গত 25 জুন মামলা দায়ের করে মধবনের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার অভিযোগ মাধবন তাকে চাকরি দেওয়ার ও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও মাধবনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণেই উত্তম নগর থানায় অভিযোগ করেন যুবতী।
মহিলার বক্তব্য 2022 সালের 21 শে জানুয়ারি মাধবনের সুন্দর নগরের একটি বাড়িতে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে মহিলার সামনে উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। তিনি জানতে পারেন মাধবন বিবাহিত। যদিও বা আগে নিজেকে ডিভোর্সি বলে দাবি করেছিলেন সে অভিযোগকারীর কাছে। শুধু তাই নয় সেদিন মহিলাটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান মাধবন নিজেকে ডিভোর্সি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ছিলেন। এমনকি মাধবনের স্ত্রী যাতে ওই মহিলা পরিচয় হয় না জানতে পারে তার জন্য নিজের ফোনে নিগৃহীতার নাম পরিবর্তন করে লিখে রাখতেন। যদি ঘটনার পর থেকে মাধবনের বিরোধিতা শুরু করে নির্যাতিতা। এরপরে দূরত্ব তৈরি করলে মাধবান এক ব্যক্তিকে নির্যাতিতার বাড়ি পাঠান এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে তাকে ভয়ানক পরিণতি হুমকি দেন। নির্যাতিতা আরও দাবি করেন যে, মাধবান তাকে অন্য এক নেতার সাথে সম্পর্ক রাখতে বলেছিলেন।
মাধবনের কথায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে আমার কাছে পোক্ত প্রমাণ আছে। এটা আমাকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র।’ তবে, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে।