সংসদে রাষ্ট্রপতি অভিভাষণে বললেন এমন দেশ হবে যেখানে দারিদ্র থাকবে না
ডেস্ক: সোমবার থেকে শুরু হল বাজেট অধিবেশন ২০২৩-২০২৪। সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরই সূচনা হল অধিবেশনের। সংসদে সোমবারই আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আগামীকাল লোকসভায় বাজেট পেশ হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপতি মুর্মু। অভিভাষণে প্রথমেই বললেন এমন দেশ হবে যেখানে দারিদ্র থাকবে না। গরিবিমুক্তি কথা দিয়ে ভাষণ শুরু করে তিনি বললেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আজকের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সময়ের সঙ্গে সবকা বিকাশের সঙ্গে সবকা প্রয়াসও যুক্ত হয়েছে’।
২০২৩ এ মোদি সরকার পূর্ণ করবে ৯ বছর । রাষ্ট্রপতি বললেন আগামী দিন আরও উজ্জ্বল হতে চলেছে। কারণ , এই সরকার নয় বছরে এনেছে অনেক পরিবর্তন। বেড়েছে দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস। দেশে এমন এক সরকার আছে যা প্রগতির দিকে চালনা করবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কথায়, ‘আমাদের সরকারে কিছুদিনের মধ্যে ৯ বছর পূর্ণ হবে, ‘এই নয় বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই নয় বছরে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। আধুনিক পরিকাঠামো দেশজুড়ে বানানো শুরু হয়েছে’ ।
এছাড়া ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তিনি বলেন, ‘যে ধরনের ডিজিটাল বিকাশ হয়েছে তা আগে হয়নি, দুর্নীতির জাল থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আমরা এখন আর্থিক ব্যবস্থায় পঞ্চম স্থানে এসেছি। আজ ভারতের দারিদ্রর স্থায়ী সমাধান হয়েছে’।
দেশে মহিলাদের অগ্রগতির বিষয়টিও রাষ্ট্রপতির মুখে উঠে এসেছে বাজেটের অভিভাষণে। ‘ এখন মহিলাদের সামনে এগিয়ে দেওয়ার সরকার আছে। এখন দেশে প্রগতির সঙ্গে ঐতিহ্যকে ধরে রাখার সরকার আছে। এখন ভারতে এমন সরকার যে দেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। এই সরকার স্থির এবং নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে। সেজন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ’। তিনি বলেন, ‘ জিএসটি চালু হওয়ার ফলে করদাতাদের ভূমিকা সুনিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মহিলাদের নামে বাড়ি নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে মহিলাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে’ .
দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের সাফল্যের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে আজ দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণে। তিনি বলেন ‘ দুর্নীতি গণতন্ত্রের সবথেকে বড় শত্রু। সেজন্য দুর্নীতির মোকাবিলায় আমাদের সরকার সক্রিয়। সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের সরকার উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে’সরকারি কাজে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ বন্ধ করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলে কাজের গতি বেড়েছে’