ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পরিবর্তনের বহুবার দাবি তুলেছে রাজ্য সরকারের বহু কর্মকর্তারা। রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাতের সাক্ষী গোটা রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বহুবার। ফলে একদিকে তিক্ত মমতা সরকার।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রী সভা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেবিনেট বিস্তার হওয়ার সম্ভবনা এখন তুঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে এই সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আসতে চলেছে বৃহৎ পরিবর্তন। এর ফলে অনেক নতুন নেতা কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগদানের সুযোগ পাবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের জল্পনা কল্পনার মধ্যে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মহারাষ্ট্রে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নারায়ন রেণ এবং আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল কে। এরই সাথে মোদীর মন্ত্রিসভায় তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হয়ে আসছে গাঢ়।
আশা করা হচ্ছে লোক জনশক্তি পার্টির নেতা পশুপতি পারস ও মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। হিন্দু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। এবং সেই থেকেই তিনি দিল্লী যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ছিলেন হিমাচল প্রদেশের সফরে, এবং বর্তমানে তিনি ফিরেছেন নয়াদিল্লীতে। দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু নেতাদের দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তাদের বর্তমানের সমস্ত জরুরী ভ্রমণ পরিকল্পনা করা হয়েছে বাতিল।
এর ঠিক আগেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ একাধিক রাজ্যের রাজ্যপালের বদলী করেছেন। রাজস্থানের দলিত নেতা থাওরচাঁদ গহলোটকে কর্নাটকের রাজ্যপাল করা হয়েছে, এরই সাথে হরি বাবু কামভপতি কে মিজোরামের রাজ্যপাল, মঙ্গুভাই ছাগনভাই প্যাটেলকে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল এবং রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকরকে হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া এমন গভর্নর রয়েছে যাকে বর্তমান রাজ্য থেকে সরিয়ে অন্যত্র গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। তাদের জন্য উল্লেখযোগ্য হলো মিজোরামের রাজ্যপাল, হরিয়ানার রাজ্যপাল এবং ত্রিপুরার রাজ্যপাল। পিএস শ্রীধরণ পিল্লাইকে গোয়ার রাজ্যপাল করা হয়েছে। সত্যদেব নারায়ন আর্য কে ত্রিপুরার রাজ্যপাল করা হয়েছে। রমেশ দাসকে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল এবং বান্দারু দত্তাত্রেয় কে হরিয়ানার রাজ্যপাল করা হয়েছে।