উঠলো মহিলাদের ওপর থেকে ফতেয়া, মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে ফেরার নির্দেশ তালিবানদের
ডেস্ক: এতটা উদারতা আশা করেনি কেউ। তাও আবার তালিবানি শাসনের কাছে। শনিবার তালিবানি মুখপাত্র সুহেল শাহীন (Suhail Saheen) টুইট করে কাবুল সহ অন্যান্য অঞ্চলের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের (Female Health Workers) কাজে ফেরার নির্দেশ দেন।
তালিবানদের আফগানিস্তান দখলের পর, তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, শরিয়া আইন মেনেই মহিলাদের শিক্ষা ও কাজে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ (Jabdullah Mujahid) সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, আফগানিস্থানের সমস্ত মহিলারা যেনো আপাতত বাড়িতেই থাকেন। তার কারণ হিসাবে তিনি জানান, “এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। মহিলা সরকারি কর্মচারীরা যাতে কাজে ফিরতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া অবধি তারা যেন বাড়িতেই থাকেন।”
সাথে তিনি প্রকাশ্যে এ কথাও বলেন তালিবানের সদস্যরা জানেন না মহিলাদের সাথে কি ভাবে ব্যবহার করতে হয়। সুতরাং নির্দেশ না আসা অবধি বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ এর এই রূপ বক্তব্যের পর শনিবার সুহেল শাহীন টুইট করে লেখেন, “জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে রাজধানী ও সমস্ত প্রদেশের সমস্ত মহিলা কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ইসলামিক এমিরেটসদের মহিলাদের কাজ শুরু করা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।”
All female employees of the Ministry of Public Health both in provinces and the Capital are informed to resume their jobs on regular manner. The Islamic Emirate has no issue with their resumption of jobs.
Z.Mujahid— Suhail Shaheen. محمد سهیل شاهین (@suhailshaheen1) August 27, 2021
সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবান। আর এই সরকারের মন্ত্রিসভায় কে কে জায়গা পাবে টা নিয়ে তালিবানি শীর্ষ নেতৃত্ব দের মধ্যে চলছে আলোচনা। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালিবানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানের দায়িত্বভার পালনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারে একজন “আমির-উল-মোমিনিন” অর্থাৎ শীর্ষনেতার বিশ্বাসভাজন কোনও তালিবান কম্যান্ডার এই দায়িত্ব পাবেন।
মহিলাদের অধিকারের প্রসঙ্গে তালিবানরা জানিয়েছেন, আগের সরকারে যেমন মহিলারা কাজ করতেন, এই সরকারেও তারা বিভিন্ন সরকারি বিভাগের অধীনে কাজ করতে পারবেন। তবে এই কোথাও বোঝা যায়, নারীদের কাজের অধিকারের সীমা শুধুমাত্র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেই। এছাড়া বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে যে হামলা চলেছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়েছে তালিবানরা। বহু পুরুষ চিকিৎসক দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় মহিলা চিকিৎসকরাই হয়েছেন একমাত্র ভরসা।