ট্যাটুর রং , সূচ থেকে ত্বকের বিপদ

ডেস্ক: অনেকেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ট্যাটু করান। মাঝে মাঝে ট্যাটুপ্রেমীদের কথা। কিন্তু এই ট্যাটু করানো কি সত্যিই নিরাপদ ? নাকি এর থেকে বড়সড় রোগের আশঙ্কা থাকে ? সম্প্রতি লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সুইডেনের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ট্যাটুর সূচের কারণে লিম্ফোমা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। লিম্ফোমা হলো একধরনের ক্যানসার।

ট্যাটু নয়, মূলত ট্যাটু করার পদ্ধতিকেই আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায়, যে সূচ ট্যাটু করতে ব্যবহার করা হয়, সেটি ইনফেক্টেড থাকতে পারে অর্থাৎ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। প্রশিক্ষণ নেই এমন ট্যাটুকর্মীর হাতে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে বলে জানান চিকিৎসকরা। কী কী রোগ হতে পারে, তাঁর একটি সম্ভাব্য তালিকা দিয়েছেন গবেষকরা। ওই তালিকায় রয়েছে — হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইচআইভি, লিম্ফোমা ক্যানসার।

ফর্টিস হাসপাতাল শালিমারবাগের মেডিকেল অঙ্কোলজির চিকিৎসক সুহেল কুরেশি বলেন, ট্যাটুর থেকে হেপাটাইটিসের সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই। শুধু তাই নয় এইচআইভি-র মতো কঠিন রোগও হতে পারে। এছাড়াও, সাম্প্রতিক গবেষণায় ক্যানসারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কথায়, অপরিনত হাতের কাজের জেরেই এমনটা হয়ে থাকে। ট্যাটুর সূচই হতে পারে রোগের উৎস।

লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ট্যাটু করানোর দুই বছরের মধ্যে ব্যক্তিদের এই রোগ দেখা দিচ্ছে। লিম্ফোমা ক্যানসারের মধ্যে লার্জ বি সেল লিম্ফোমা ও ফলিকিউলার লিম্ফোমা দেখা বেশি পরিমাণে দেখা দিচ্ছে।

ট্যাটুর রঙের উপাদানেও বিপদ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। ট্যাটুর রঙের মধ্যে পলিসাইক্লিক অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন । এগুলি কারসিনোজেনিক সাবস্টেন্স। অর্থাৎ এর থেকে ক্যানসার হতে পারে। অন্য়দিকে সিকে বিড়লা হাসপাতালের চিকিৎসক তুষার তয়ালের কথায়, পিএএইচ ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই উপাদানগুলি লিম্ফ নোডে গিয়ে জমা হয়। যার ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *