অভিযুক্তরা পাচ্ছেন না পূর্ণ জামিন, থাকতে হবে গৃহবন্দী, দ্বিতীয় দফায় শুনানি হাইকোর্টে
ডেস্ক: নারদা মামলায় হাইকোর্টে শুনানি হয় শুক্রবার বেলা ১১ টায়। দুই পক্ষ থেকেই চলে বিতর্ক।সিবিআই অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট নেতাদের জামিন মঞ্জুর না করানো বহু চেষ্টা চালিয়ে গেছে।
যেখানে তারা জামিন মঞ্জুর না করার মূল কারণ বলে
১. প্রমাণ লোপাট করা।
২. পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
৩. সিবিআই এর সাথে কর্পোরেট না করা।
সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর বিকালে তাদের অন্তর্বর্তী জামিন হওয়ার কথা ঘোষণার পর সেটি করে দেয় স্থগিত করে দেয় সিবিআই।
গত বুধবার তাদের তোলা হয় কোর্টে। সেখানে সিবিআই আঁটঘাট বেঁধে নিদারুণ ছক সাজিয়েছিল অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ানোর জন্য।
৫৩ পাতার চার্জশিট পেশ করেছিল প্রধান বিচারকের বেঞ্চে। যেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরা ছিল নারদা মামলার গোটা বিষয়টি।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোর্টে শুনানি হয়নি। বুধবারের পর আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় হাইকোর্টে গঠন হয় বেঞ্চ। যেখানে অভিযুক্তদের জামিন নিয়ে চলে মতবিরোধ।
একদিকে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।
দুইপক্ষের মধ্যে মতবিবাদে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরিকল্পনা চলছে যে অভিযুক্তদের সম্পূর্ণ জামিন দেয়া হবে না। তাদের থাকতে হবে হাউস অ্যারেস্টে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই মামলার শুনানির জন্য তৃতীয় বারের মত গঠন হতে পারে বেঞ্চ।
এবং যতদিন না এ মামলায় তৃতীয় বারের জন্য বেঞ্চ গঠন হচ্ছে ততদিন ফিরহাদ, সুব্রত, মদন ও শোভনকে থাকতে হবে গৃহবন্দী। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংহভি।
অভিষেক সিংহভি বলেন পৌরসভার একজন সক্রিয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গৃহবন্দী থাকলে কোভিডের কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি নিজের দায়িত্ব পালন কিভাবে করবেন।
এই রকম মতবিরোধের মধ্যে শুনানি এগিয়ে চলছে।