ডেস্ক: একুশের ভোটের ফলাফলের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক আবহাওয়া বেশ কিছু দিন গরম থাকে। পোস্ট-পোল ভায়োলেন্স এর শিকার হতে হয় অনেকজনকেই। প্রাণহানি হয় অনেকের। যেখানে তৃণমূল কর্মীদের দোষারোপ করা হয় বিজেপি কর্মীদের ওপর অকারণ অত্যাচার চালানোর জন্য। কিন্তু টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার মিডিয়াতে জানায় যে, দুই দলের কর্মীদেরই প্রাণ হারাতে হয়। এবং সোশ্যাল মিডিয়া তে যে ভিডিও গুলো ভাইরাল হচ্ছে তার মধ্যে ৯০% মিথ্যে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের হাল ধরেন। গত ৫ই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের সময় তিনি জানান পোস্ট পোল ভায়োলেন্স এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন তিনি। যেমন বলা তেমন কাজ, গত ৪-৫ দিনের মধ্যে এই রূপ ঘটনা আর শোনা যায়নি রাজ্যে। ফলে রাজ্যের ও মমতা সরকারের কড়া শাসনব্যবস্থার প্রশংসা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
পোস্ট পোল ভায়োলেন্স নিয়ে ভোটের ফলাফলের পর থেকেই বিক্ষোভ জানিয়ে ছিল বিজেপি সরকার। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা প্রকাশ, তারপর বিজেপি নেতাদের প্রতিবাদ ধর্না থেকে শুরু হয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের হুঁশিয়ারি। সবশেষে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের আগমন। যা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। এর ওপর আবার এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়।
সেই মামলার শুনানিতেই আজ রাজ্য প্রশাসনের প্রশংসা করল আদালত। তবে তার আগে এই হিংসার জন্য রাজ্য-কেন্দ্র দু’জনকেই কাঠগপড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এবং এই ঘটনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র দুজনকেই দায়ী করা করা হয়। এবং পরবর্তী সময়ে এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে একত্রিত ভাবে দুই সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ জারি করেন।