ডেস্ক: রাজনৈতিক মহলে করাঘাত। নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের রুলিং পার্টি তৃণমূলের 4 জন বিশিষ্ট মন্ত্রীদের সাতসকালে গ্রেফতার করল সিবিআই।
সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় কে করা হয় গ্রেফতার। এরমধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য না হলেও চারজনই বাংলা রাজনীতির দাপটে নেতা হিসেবে পরিচিত।
এই গ্রেফতারের পর তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভে আশঙ্কা দেখা দেয় রাজ্যে। এর আগে সারদা মামলায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কে গ্রেপ্তার করার পর আক্রমণ হচ্ছে বিজেপি অফিসে। অফিস ঘিরে ফেলেছে তৃণমূল কর্মীরা। সেই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে লালবাজারে ফোন করে নিরাপত্তা চায় বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির মুরলীধর লেনের অফিস ও হেস্টিংস এর নির্বাচনী অফিসের নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হয় লালবাজারে।
ফিরহাদ হাকিমকে চেতলার বাড়ি থেকে সিবিআই তুলে নিয়ে আসার পর থেকে সেখানে বিক্ষোভ ছবি দেখা গিয়েছে। রাস্তায় বসে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এরকম বিক্ষোভের ছবি বারবার ভেসে আসছে। টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কর্মীরা। এই বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া বিজেপি অফিসেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
“শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায় কে কেন গ্রেফতার করা হলো না?” এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেক তৃণমূল কর্মীরাই। দলের তরফে সৌগত রায় ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছে “গ্রেফতারি আসলে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপি ঘটনাটি সিবিআই এর আইনি পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে ।