ডেস্কঃ গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ডুমুর জেলার আদলে সাগরে তৈরী হয়েছে নতুন হেলিপ্যাড , এর উদ্বোধন করেন তিনি। বুধবারেই রওনা দেন তিনি ,সূচনা করে বললেন আলোকমালায় সেজে উঠবে গঙ্গাসাগর আজ থেকেই।
প্রতিবছরই পরিদর্শনে আসেন তিনি। বিভিন্ন মন্ত্রী ও সরকারিক আধিকারিক থাকবেন সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে। এবারের মেলায় একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিনেশ্বরের কালীবাড়ি, তারাপীঠ ,কালী মন্দির, জহুরা কালীবাড়ি ,ও তারকেশ্বর দর্শন করানো হবে সেখানেই। ৬৫ লক্ষ্য টাকা খরচ করে তৈরী হয়েছে একটি আধুনিক গেস্ট হাউস। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সমুদ্র তট মেরামত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান , নতুন সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে কাকদ্বীপে , এছাড়াও তিনি জানান মেলা চলা কালীন কোনো মানুষ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালে ৫ লক্ষ্য টাকার বীমা করানো হয়েছে।
এছাড়াও, ১০ হাজারের বেশি শৌচাগার করা হয়েছে, রাস্তা বাঁধানো হয়েছে। পানিও জলের ব্যবস্তা রয়েছে,লেজার শো , ফুড কোডের ডালাও আয়োজন করা হয়েছে। কাকদ্বীপে স্থায়ী জেটি তৈরী করা হয়েছে। যাতায়াতের সুবিধার জন্যে মুড়িগঙ্গা খনন করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। মুড়িগঙ্গার ওপর সেতু গড়ার পরিকল্পনা চালানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এই তীর্থে সকলকে জল পেরিয়ে কোটিখানেক মানুষ যাতায়াত করেন ,বিষয় টা খুবই কঠিন। যার ফলে তিনি কেন্দ্রকে সাহায্যের জন্যে আবেদন জানান কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি এরপর তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার আর্জি জানান কেন্দ্রকে। কুম্ভ মেলা কেন্দ্রের পয়সায়ে চললেও গঙ্গাসাগর কোনো অনুদান দেয় না । ওনার কথায় ‘কেন্দ্র এক পয়সার বাতাসা দিয়েও সাহায্য করেন না ‘