ডেস্ক: গোটা দেশজুড়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল বের হচ্ছে। বহু ছাত্র-ছাত্রীর আশা অনুরূপ ফলাফল হচ্ছে না। তাই পরিবার ও আশেপাশের আত্মীয়-স্বজনদের থেকে শুনতে হচ্ছে নানা রকম কথা। ছোট থেকেই আমরা সকলে শুনে আসছি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট এর ওপর নির্ভর করছে আমাদের বাকি কেরিয়ার। সুতরাং এইচডি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে ভবিষ্যতে উন্নতি দেখতে পাওয়া বড় মুশকিল।
এইসব নিয়েই ছাত্রছাত্রীদের ওপর পরিবারের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশাল এক মানসিক চাপ। তাদের কথা শুনে মনোবল ভেঙে গিয়ে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছে সরকারি আমলা হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেবে। আর এরকম মহলের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেছে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল একটি পোস্ট।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এর মার্কশিট এর উপর আদতে কতটা ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল তারই উদাহরণ দিয়েছেন গুজরাটের আইএএস অফিসার তুষার ডি সুমেরার মার্কশিট।
তুষার ডি সুমেরা এই মুহূর্তে গুজরাটের ভারুচের জেলা কালেক্টর হিসাবে কর্মরত। ভাইরাল হওয়া তুষার ডি সুমেরার মার্কশিটে দেখা গেছে তিনি দশম শ্রেণীতে শুধু মাত্র পাস নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। 100 নম্বরের মধ্যে তিনি ইংরেজিতে 35, অংকে 36 এবং বিজ্ঞানে 38 নম্বর পেয়ে পাস করেছে। শুধু পরিবারের লোক নয় স্কুল ও গ্রামের সকলে তাকে বলেছিল এই নম্বর নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু হবে না।
भरूच के कलेक्टर तुषार सुमेरा ने अपनी दसवीं की मार्कशीट शेयर करते हुए लिखा है कि उन्हें दसवीं में सिर्फ पासिंग मार्क्स आए थे.
उनके 100 में अंग्रेजी में 35, गणित में 36 और विज्ञान में 38 नंबर आए थे. ना सिर्फ पूरे गांव में बल्कि उस स्कूल में यह कहा गया कि यह कुछ नहीं कर सकते. pic.twitter.com/uzjKtcU02I
— Awanish Sharan (@AwanishSharan) June 11, 2022
তুষার ডি সুমেরার গল্পটি সবার সামনে নিয়ে এসেছেন অপর আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ। তিনি নিজেই টুইটারে তুষার ডি সুমেরার মার্কশিট টি পোস্ট করে বিষয়টি জানান। সাথে এটাও জানান যে এই ঘটনাটি গুজরাট কালেক্টর তুষার ডি সুমেরা নিজেই বলেছেন।
মাধ্যমিকে কোন রকমে পাস করা এই ছাত্র কলা বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর স্নাতক পাস করেছিলেন। এরপর 2012 সালে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষা পাস করেন একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার কাজের প্রশংসা করেছিলেন।