সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করে আজ নারদা মামলার বেঞ্চ গঠন হয় তৃতীয় বারের জন্য

ডেস্ক: সোমবার নারদা মামলায় তৃতীয়বারের জন্য বেঞ্চ গঠন হয়। শুনানির তৃতীয় দিনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। সিবিআই রবিবার মধ্যরাতে হাইকোর্টে আর্জি জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পর হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে শুরু হয়েছে নারদা মামলার তৃতীয় শুনানি।

সোমবার সকালে নারদার তৃতীয় দফায় শুনানিতে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন ৫ বিচারপতি সহ দুই প্রতিপক্ষ এবং প্রতিপক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো, গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় বেঞ্চ গঠনে দুই আইনজীবীর মধ্যে মতবিরোধ হয় এবং ঠিক করা হয় অভিযুক্তদের অর্থাৎ পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন নেতা শোভন চ্যাটার্জি কে অন্তর্বর্তী জামিন না দিয়ে গৃহবন্দি রাখা হবে। তাই ফিরহাদ হাকিমকে সেই দিনই বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় কড়া নজরদারি রাখা হয় তার ওপর।

 

অন্যদিকে বাকি তিন মন্ত্রীরা ভর্তি থাকেন পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে টিভি নাইন বাংলার একটি ভিডিও ফুটেজ এ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মদন মিত্র ও শোভন চ্যাটার্জি কে উর্বান ওয়ার্ডের করিডরে ঘুরতে দেখা যায়।

 

আসা যাক বর্তমান পরিস্থিতিতে, শুক্রবার দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রায় নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায়। ফলে মামলা যায় বৃহত্তর বেঞ্চে। তাই আজ পাঁচ বিচারপতির সহ চলছে এই ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি। যাদের মধ্যে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বিচারপতি সৌমেন ও বিচারপতি

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন ৫ অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র আর শোভন চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই এর আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

 

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টে। এমনটাই আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। এই আবেদনের পক্ষে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার নেতা বলেন, “এটা একটা সিরিয়াস ইস্যু। আমাদের শীর্ষ আদালত কে সম্মান জানাতে হবে। না হলে স্পিরিট নষ্ট হবে”।

 

কিন্তু অপরদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক সিঙ্ঘভি এটার বিরোধিতা করে বলেন, “খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। খুব শর্ট নোটিশে এটা করেছে সিবিআই। হাইকোর্ট একটা সিম্পল হাউস অ্যারেস্ট রায় দিয়েছে। ৫ বিচারপতিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারপর কেন আর্জি করা হচ্ছে? মামলার আর্জেন্সি থাকা সত্ত্বেও এটা কিভাবে হতে পারে?”

 

আরেক আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মধ্যরাতে সিবিআই আবেদন করেছে। সকালে জানাচ্ছে আমাদের। আমাদের জামিন মামলা শোনাই হয়নি। আমরা আগের দিন দুটোয় শোনার আর্জি করেছিলাম। লার্জার বেঞ্চে করে দেওয়া হয়। আমি জানিনা একে কি পিটিশন বলবো। অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনাই হচ্ছে না।”

 

 

দুই পক্ষের বক্তব্য পরিবেশনের পর বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আজ মামলা শুনতে পারি। সেক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের পেন্ডিং বলে কিছু অসুবিধা আছে?” এবং একই সঙ্গে অন্য বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “সামনে সাইক্লোন ফলে এই মামলার শুনানি আজ মুলতুবি হয়ে গেলে আর বিলম্ব হবে”।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *