ডেস্ক: গত 26 ও 27 মে রাজ্য আক্রমণ করে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঝড়টি শহরাঞ্চলে বিধ্বংসী না হলেও রাজ্যের বহু জেলাকে করেছে ক্ষতিগ্রস্ত। পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর 24 পরগনা সুন্দরবনের মতো অঞ্চল গুলিকে ভাসিয়ে দিয়েছে ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাত।
বৃষ্টিপাতের জেরে বীভৎস আকার নেয় দীঘার সমুদ্র নোনাজল ঝাঁপিয়ে পড়ে সংলগ্ন বর্তী গ্রামগুলিতে । যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয় ব্যাপক মাত্রায় ডুবে যায় বহুগ্রাম। নষ্ট হওয়ায় চাষের জমি ও মাছের ভেড়ি।
কলকাতা ও হাওড়ায় এর প্রভাব তেমন দেখা যায়নি স্বল্প বিস্তর ঝড় ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে 26 তারিখ কিন্তু তার পরের দিন অর্থাৎ 27 তারিখ বৃষ্টির মাত্রা বেশ জোরালো ছিল। জল জমে বহু জায়গায়। ব্রাজ্জের সতর্কতামূলক পদক্ষেপের কারণে বহু জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চলতে থাকে সঠিক ভাবে।
পরেরদিন নেই সেই রকম বৃষ্টিপাত না হলেও একদিন ছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত চলতে থাকে কলকাতা ও হাওড়া সহ বহু জেলায়।
আজও কলকাতার বহু জায়গায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনটাই জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হবে প্রবল বৃষ্টিপাত বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ 98%।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে 33 ডিগ্রি। যার কারণে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ বজায় থাকবে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে গঠিত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তুলনামূলক ভাবে অন্যবারের থেকে এবারে রাজ্যে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও তেমন নজরে আসেনি।
সূত্রে জানা যায় বাংলা উড়িষ্যার পর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে কেরালাতে ও। আগামী 3 রা জুন দেশের মূল ভূখণ্ডে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন হতে চলেছে।
ইতিমধ্যে বর্ষাকালের ও খোঁজ মেলেনি রাজ্যে। কিন্তু আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এবছর মে মাস জুড়ে 388 মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতায় যা আগের বছরের মে মাসের তুলনায় বেশি।