কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম, আশ্বাস দিলো কেন্দ্র সরকার

ডেস্ক: গোটা বিশ্ব জুড়ে যেখানে মহামারী করোনা দিনদিন গ্রাস করছে মানবজাতিকে। সেখানে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে রোজকার জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

 

ভারতবর্ষের মতো দেশে যেখানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গুরুতর। মহামারীতে নাজেহাল মানুষ সেখানে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য গুনতে হচ্ছে কাঁড়িকাঁড়ি টাকা। গত ছয় মাসে বেড়েছে গ্যাসের দাম, পেট্রোল, ডিজেল, পিঁয়াজ, লঙ্কা কোনো কিছুই বাদ যায়নি। গত এক সপ্তাহে ভোজ্যতেল ও মুরগীর মাংসেরও দাম বেড়েছে।তথ্যের রিপোর্ট, এক সপ্তাহে ৫৫.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে তেলের দাম। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এর অতিমারির জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল গত এক বছরের জন্য। তাই সমস্ত জিনিসের পাশাপাশি এবারে ভোজ্য তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাবেই বাড়তে শুরু করেছিল। সাধারণ গ্রাহকের ভোজ্য তেলের দাম এবারে নিয়ন্ত্রণ আনতে চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

 

এবার হয়তো না খেয়ে মরতে হবে মানুষকে। কিন্তু এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে জানিয়েছেন, সীমা শুল্ক এবং FCI এর সঙ্গে কথাবার্তা বলে এই জিনিসের যোগান বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই দাম কমার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে প্রত্যেক বছর এরকম ভাবেই তেল আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সরকারি বাজারে বনস্পতির দাম এখন ১৪০ টাকা কিলো। কিছুদিন মধ্যেই ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এই বনস্পতির দামের।

 

অন্যদিকে, বাড়ছে বাদামের দাম ও। বর্তমানে সব ধরনের বাদামের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭%, তেলের দাম বেড়েছে ৫১%।