ডেস্ক: মহামারীর জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে। টানা দুই বছর বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। কথা ছিলো এবছর দুর্গা পূজো পর তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কম থাকলে পুনরায় খোলা হবে স্কুল কলেজ। মাঝখানে অনেক অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষমেষ পুজোর পরই খুলতে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। আগামী 15ই নভেম্বর থেকে খুলবে রাজ্যের স্কুল কলেজ।
যদিও এর আগে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে এলেও, নিরাময় হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল খোলা নিয়ে একটি জল্পনা তৈরি করেছিলেন। যার কারণে স্কুল সংস্কারে 109 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নবান্ন।
সূত্রে জানা যায়, রাজ্য সরকারের উপসচিবের তরফে এক নির্দেশিকায় স্কুল শিক্ষা দফতর কে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী 15 বা 16 ই আগস্ট থেকেই খুলে দেওয়া হবে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। তবে একজন অফিসিয়ালি বা সরকারি ভাবে এ বিষয় কিছু বলা হয়নি। শিক্ষা দফতর সুত্রে খবর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হলেই খুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর কোরোনার প্রথম ধাক্কায় প্রতিদিন 6 হাজারের উর্ধ্বে সংক্রমিত সংখ্যা ঠেকেছিল। যার কারণেই বন্ধ হয়েছিল স্কুল কলেজ। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পনেরো দিনের জন্য সাময়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও সেই সাময়িক সময় সীমা এসে ঠেকেছে 2 বছরে। যদি দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্যে। অনলাইনে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষা নিলেও সেটি লাভ দায়ক হচ্ছে না ছাত্রছাত্রী দের জন্য।