ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ব্যাপক পরিমাণে। তাই রাজ্য প্রশাসন বিশেষ নজরদারি দিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ছড়িয়ে দিচ্ছে সতর্কীকরণ নির্দেশিকা।
গতবছর আমফানের অভিজ্ঞতাকে মাথা রেখে এগিয়ে চলছে ধাপে ধাপে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজে উপস্থিত থাকছেন উপান্নের কন্ট্রোল রুমে। ইয়াসের সাথে মোকাবিলা নিয়োগ করা হয়েছে 74 হাজার জন অফিসার কে। 24 ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এক সপ্তাহের জন্য পুরসভার কর্মচারীদের বাতিল করা হয়েছে ছুটি। বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বহুবার রেললাইন থেকে ট্রেন গড়িয়ে এসেছে মেইন লাইনে। যার ফলে ভয়ঙ্কর ভাবে বিপদ ঘটেছে একাধিকবার। অতীতের এ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে এবারের রেল প্রশাসন প্রতিটি ট্রেনের চাকা গুলিকে বেঁধেছে রেললাইনের সাথে লোহার চেইন দিয়ে।
হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের একজন কর্মচারী এ বিষয়ে বিশদ জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর যে গতি স্থায়ী থাকে সেদিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়।
একাধিকবার বিপদ হয়েছে বিষয়টির ওপর নজরদারি রাখা ফলে। মেন লাইনে ট্রেন উঠে যাওয়ার ফলে অনেক রকমের দুর্ঘটনা হয়ে থাকে যেমন দুটি ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লাগা অথবা কোনো মানুষের সাথে ধাক্কা লাগা।
রেল প্রশাসন এইসব বিষয়ে যথেষ্ট সক্রিয় ভাবে এবারে পদক্ষেপগুলি নিচ্ছে। দুই দিনের টানা ঘূর্ণিঝড়ে কোনরকম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন যাতে বাংলার মানুষ কে হতে না হয় সেদিকে নজরদারি রাখছে রাজ্য প্রশাসন।
নবান্ন থেকে শেয়ার করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর 1070 এবং 033-22143526
কোরোনার কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে সেল্টার হোম। ইতিমধ্যে ইয়াসের প্রভাব দেখা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও সুন্দরবন অঞ্চলে। সোমবার রাত থেকে বন্যায় ভেসে গেছে বহু ঘরবাড়ি। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ভয়ঙ্কর রকমের বন্যার কারণে গৃহহারা হয়েছে বহু মানুষ। তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেদিনীপুরের সেল্টার হোমে।
রাজ্য সরকার ঘূর্ণিঝড়ের সাথে মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু সতর্কীকরণ নির্দেশিকা জারি করেছে
1. কোনমতেই বাড়ি থেকে বেরোবেন না।
2. ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার ও বিদ্যুতের মাধ্যমে চালিত জিনিস গুলির ব্যবহার করবেন না।
3. ফোন চার্জে দিয়ে রাখবেন।
4. গাছের নিচে, বিপদজনক বাড়ি নিচে ও ফাঁকা মাঠ দাঁড়াবেন না।
5. জরুরী কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবে।
6. জলের অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই গৃহকর্মে ব্যবহৃত জলের ব্যবস্থা আগে থেকে নিয়ে রাখবেন।
7. বৈদ্যুতিক লাইট এর পরিবর্তে মোমবাতি ও এমার্জেন্সি লাইটের ব্যবহার করবেন।
8. রাস্তার প্রাণীদের আশ্রয় দেবেন।
9. আপনি ও আপনার আশেপাশে কেউ সমস্যাগ্রস্থ হলে রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করবেন।