পায়ে ব্যাথা হয়েছে বলে শিয়ালদহ যেতে পারলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহ মেট্রো উদ্বোধনকে কটাক্ষ মন্ত্রী ফিরহাদের।

ডেস্কঃ হাওড়া পৌর নিগমের টাউন হলের উদ্বোধনে এসে মেট্রো রেলের শিয়ালদহ স্টেশণের উদ্বোধন করাকে কটাক্ষ করলেন কলকাতা পৌর নিগমের মেয়র ও রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্মৃতি ইরানির পায়ে ব্যাথা হয়েছে তাই আর শিয়ালদহ অব্ধি পৌঁছতে পারলেন না বলে

কটাক্ষ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন রেলের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে নয় বাংলার দশ কোটি মানুষকে অপমান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ তিনি রাজ্যের দশ কোটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আজকের সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপির নেতাদের উপস্থিতিকে কটাক্ষ করে বলেন এটাই বিজেপি যার কোনো সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও বুদ্ধি নেই। এটার নামই বিজেপি।

প্রসঙ্গত হাওড়ার শতাব্দী প্রাচীন এই টাউন হল তৈরির কাজ শুরু হয় ১৮৮৩ সালে। শুধু হলটি তৈরি করতে ২৬ হাজার ৫০০ টাকার মতো লেগেছিলো সেই সময়ে। তৈরি করার পর এর আসবাবপত্র ও সাজানোর জন্য প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করা হয়েছিল। এর সম্পূর্ণ অর্থই শহর হাওড়ার বাসিন্দাদের থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। যারা ওই সময়ে ১০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেনা তাঁদের নামের তালিকা টাউন হলে টাঙানো রয়েছে।

১৮৮৪ সালের ১৪ ই মার্চ তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ছোট লাট এটির উদ্বোধন করেন। এই টাউন হলের উচ্চতা ২১ ফুট ও দৈর্ঘ্য প্রস্থে যথাক্রমে ৬৬ মিটার ও ৪২ মিটার।
তৎকালীন ইংরেজ স্থপতি সি বাকলেন এর নকশা ও তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেন। এই টাউন হলেই ১৯০৯ সালে ঋষি অরবিন্দ একটি সভা করেন।

উনি এই হলে ‘ পশু নিরাময় কেন্দ্র চালাতেন। তার ফলকও এখানে আজও বিদ্যমান। যা কিনা এই টাউন হলের সবচেয়ে গর্বের বিষয় বলেই ধরা হয়। বহু মনীষীর পদধূলিতে ধন্যবাদান্তে এই টাউন হলের গৌরব ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই তার পুনরায় সংস্কার করে চালু হল হাওড়ার ঐতিহ্যশালী টাউন হল।

আজকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নগরান্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় ও সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।