ভেসে চলেছে গাড়ি, দেখা দিলো হাড়পা বান… সামনে এলো হিমাচল প্রদেশের ভয়ঙ্কর পরিস্তিতির ভিডিও

ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়ার বিশৃঙ্খলতার কারণে রীতিমতো দেখা দিচ্ছে বিধ্বস্ততার দৃশ্য। যেখানে চলতি বছর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলা তথা উড়িষ্যায় যেরকম মর্মান্তিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তারই একই নিদর্শন দেখা দিল হিমাচল প্রদেশে।

মেঘভাঙা বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার পরিস্থিতি হয়ে পড়ে শোচনীয়। ভয়ঙ্কর বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা দেয় হাড়পা বান। হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় আচমকাই আছড়ে পড়া জলস্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি।

ভয়ঙ্কর বন্যার কারণে চিন্তার পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা রাজ্যে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিথিলতার কারণে হিমাচল প্রদেশে এসে উপস্থিত হয়েছিল হাজারো পর্যটক। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই চলতে থাকা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে আটকে পড়েছেন পর্যটকরা।

দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে বর্ষা প্রবেশ করতেই বিগত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি পড়েছে হিমাচল প্রদেশে। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হিমাচল প্রদেশের পর্যটক এবং বাসিন্দাদের।

এমনকি ভারী বর্ষণ ও হাড়পা বানে কারণে সিমলা জেলার রামপুরের ঝাকরির কাছে অবস্থিত জাতীয় সড়কপথেও নেমেছে ধ্বস, যার ফলে বন্ধ হয়েছে একাধিক রাস্তাঘাট। তবে সেখানকার প্রশাসন ব্যবস্থা এই খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে বেড়েছে নদীর জলস্তর। প্রায় ভেঙে গিয়েছে দশটি দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়িঘর।

আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন হিমাচল প্রদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। 12 এবং 13 ই জুলাই সমতল ও মাঝারি পার্বত্য এলাকায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এবং 14 ও 15 জুলাই জারি হয়েছে হলুদ সর্তকতা। এই সময় সেখানকার বাসিন্দা ও পর্যটকদের আবাসস্থলের বাইরে বেরোনোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।