মদ্যপ স্বামীকে শায়েস্তা করতে পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী

ডেস্ক: স্বামীর মদ্যপান কে ঘিরে দাম্পত্য জীবনে কলহ নতুন কোনো বিষয় না। আমাদের সমাজের আশেপাশে চোখ রাখলেই এমন ঘটনার কথা আমার জানতে পারবো। স্বামীর মদ ছাড়াতে একাধিক চেষ্টা করে থাকেন স্ত্রীরা। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনা শিহরিত করবে আপনাকে। স্বামী মদ্যপান না ছাড়ায় স্ত্রী দা এর এক কোপে কেটে দিলেন স্বামীর পুরুষাঙ্গ।

ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার। লোকনাথ মান্ডি নামক বছর 20 র যুবক মাস দুয়েক আগেই ভালোবেসে বিয়ে করেন। পেশায় লোকনাথ রাজমিস্ত্রি। বিয়ের পর থেকেই লেগে থাকতো বিবাদ। একাধিকবার মদ খেতে নিষেধ করেছিল স্ত্রী। কিন্তু সে কথায় কান দেয়নি লোকনাথ। এরপর গত 18 তারিখ রাতে চরমে পৌঁছে যায় অশান্তি। এবং ঘুমানোর সময়ই দা দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দেন স্ত্রী। বিছানা থেকে মেঝে ও মাটির দেওয়াল রক্তে ভরে ওঠে।

লোকনাথের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দেখেন মাটিতে শুয়ে চোটফর করছে সে। তাকে সাথে সাথে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার পরই সেই রাতে তাকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরের দিনই কুমারগঞ্জ থানায় লোকনাথের বাবা লক্ষ্মণ মান্ডি নিজের পুত্রবধূ, ছেলের শশুর এবং শাশুড়ীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই শশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার বালুরঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্ত্রী। সেদিন রাতেই অভিযুক্ত মহিলাকে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ ৷ গতকালই ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়। কেন এমন ঘটনা ঘটালো অভিযুক্ত মহিলা তার তদন্তে নেমেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

এই বিষয়ে জখম যুবকের বাবা লক্ষ্মণ মার্ডি বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য সকলে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে ছেলে ও তাদের সঙ্গে ঝামেলা করত তাঁর পুত্রবধূ ৷ এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি আমি । এখনও পর্যন্ত দুজনকে পুলিশ ধরেছে ৷ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে কুমারগঞ্জ থানার আইসি সুজয় ব্যানার্জি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷