মানতে হবে তিনটি শর্ত, তবেই উঠবে লকডাউন
ডেস্ক: গত বছর থেকে কোরোনার সংক্রমণ রুখতে দেশের বহু জায়গায় লকডাউন জারি করা হয়। 2020 র শেষের দিক থেকে 2021 এর শুরুর দিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে প্রায় সমস্ত কিছুই করা হয়েছিল আনলক। টানা তিন থেকে চার মাসে ব্যবসায় ও চাকরিতে খাওয়া ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই প্রকট হয় করোনা দ্বিতীয় প্রবাহ। যার কারণে দেশের বহু রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য জারি করা হয় লকডাউন।
তবে সৌভাগ্যবশত বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কমছে সংক্রমণের হার। তাই বেসামাল জীবন যাত্রাকে সামলে উঠানোর জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে লকডাউন তোলার। কিন্তু কোন পদ্ধতি মেনে চললে সেই আনলক প্রক্রিয়া শুরু করলে সুরক্ষা মিলবে তা জানালেন আইসিএমআর এর প্রধান বলরাম ভার্গব।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারে কেন্দ্র সরকার দ্বারা আয়োজিত কোরোনা সংক্রান্ত সম্মেলনে বলরাম ভার্গব বললেন, “কোরোনা সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে বাঁচতে রাজ্য সরকার গুলি অত্যন্ত ধীরগতিতে একে একে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। লকডাউন তোলার জন্য তিন পয়েন্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করতে বললেন আইসিএমআর প্রধান। এগুলি হলো, সংক্রমণের হার হ্রাস, অধিকাংশের কোরোনা টিকাকরণ ও কোভিড বিধি মেনে চলা।”
তিনি আরো বললেন, বিধিনিষেধ তুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করছে,- যদি সাপ্তাহিক আক্রান্তের হার 5 শতাংশের কম হয়, যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে, তাদের মধ্যে কমপক্ষে 70 শতাংশের টিকাকরন এবং কোরোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।
গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগামী 7 ই জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ালেও উৎপাদনও নির্মাণকার্য শুরু করার অনুমতি দেয়।অন্যদিকে সোমবার থেকে উত্তর প্রদেশ এবং যে সমস্ত জেলার সক্রিয় রোগের সংখ্যা 600র কম সেখানে বিধিনিষেধ আলগা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলের 27 তারিখ থেকে 3 মে পর্যন্ত দেশে যেখানে আক্রান্তের হার 21.0 40% ছিল বর্তমানে তা কমে 8.3% এ দাঁড়িয়েছে।
সকলকে টিকাকরণের প্রসঙ্গে Mr. ভার্গব বললেন, “ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি নেই। যদি এক মাসের মধ্যেই গোটা দেশে টিকাকরণ করতে চান তবে সেক্ষেত্রে টিকা ঘাটতি বলা যেতে পারে। আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা আমেরিকার চারগুণ বেশি আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে জুলাইয়ের মধ্যভাগ বা আগস্টের শুরুর দিকেই আমাদের কাছে প্রতিদিন এক কোটি মানুষের টিকা করনের জন্য পর্যাপ্ত টিকে থাকবে।