ডেস্ক: বিপত্তির শেষ নেই। এত কিছুর মধ্যে ফের এক দুর্ঘটনার সংবাদ এলো কানে। নিউ ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায় আগুন লেগে যাওয়ায় আটকা পড়ে তিন জন কর্মী। 10 ঘন্টা হতে চলল এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
কারখানার আগুনে আটকা পরে হরিণঘাটার দুই বাসিন্দা অমিত সেন ও তন্ময় ঘোষ এবং চাকদার বাসিন্দা ও ওই কারখানায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সুব্রত ঘোষ।
বুধবার রাতে হঠাৎই কারখানাটা আগুন লেগে যায়। তিন তলা বাড়ির ভিতোরে ছিলো কারখানাটি ওষুধের দাম ও রঙেরও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তারপর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেই আগুন। নাস্তানাবুদ পুলিশ ও দমকলকর্মীরা। সূত্রে জানা যায়, জতুগৃহ এর মধ্যে আটকা পড়ে আছে তারা।
গেঞ্জী কারখানার সামনে হতাশার সাথে দাঁড়িয়ে আছে তিন ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ও।
বাড়ির ভেতর থেকে বেশ কয়েকবার সিলিন্ডার ব্লাস্ট এর শব্দ ও শুনতে পাওয়া যায়।
ধারণা করা যায় এতক্ষণ আগুনে আটক থাকায় তিনজনের বেঁচে ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন গেঞ্জি কারখানা বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল, নিচের ওষুধের গুদামে রাখা ছিল প্রচুর পরিমানে স্যানিটাইজার। এবং কারখানাতেও রাখা ছিল পেট্রোল। ফলে আগুন আরও বিধ্বংসী চেহারা নিতে পেরেছে।
বেলা একটায় বহু চেষ্টার পর বাইরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলও। বাড়ির ভেতরে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।