ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের ফলাফল গোটা রাজ্যে কে বিস্মিত করেছে।
“পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন” এমন কিছুই দ্বন্ধ চলছিল বেশ কিছু মাস ধরে রাজ্যে।
যেখানে মোটা অঙ্কের আসন জয় করে তৃণমূল সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে।
তবে বিজেপি র দাপট বেড়েছে বই কমেনি। বর্তমানে বিজেপি হয়ে দাঁড়িয়েছে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি তৃণমূলের কাছে।
কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়!!
ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ফেসবুকে এমন বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর জমে থাকা ক্ষোভ বার হচ্ছে একেবারে। তৃণমূল কর্মীরা হামলা করছে বিজেপি সর্মথকদের পর। যেখানে কোথাও তাদের মারধর করা হচ্ছে , কোথাও বা ভাঙ্গচুর করা হচ্ছে ঘরবাড়ি, আহতের সাথে নিহত হচ্ছে মানুষ। মহিলাদের ওপরও আক্রমণ করতে হাত কাঁপছে না তাদের।
নন্দীগ্রামের #কেন্দামাড়ি গ্রামে @BJP4Bengal বিজেপি মহিলা কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় @AITCofficial তৃণমূল দুষ্কৃতীরা।
মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে তাদের উপর এভাবে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গের #আসল_পরিবর্তন না করে এটাই কি সাধারণ মানুষের পাওনা? pic.twitter.com/VeBf7AJ1OH
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 3, 2021
যদিও বা বিষয়টা নতুন কিছু না ক্ষমতায় আসার পর থেকে এরম উপদ্রব তৃণমূলের ভলেন্টিয়াররা করে আসছে। শুধুমাত্র হামলা সহ্যকারী দল পরিবর্তন হয়েছে।
তবে, এতো কিছুর মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন?
কারণ দল জিতে গেলেও দলের নেত্রী পরাজিত হন নন্দীগ্রামে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আগামীকাল অর্থাৎ ৫ই মে পুনারায় মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। সুতরাং, আপাতত তিনি
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা থেকে বঞ্ছিত, ততক্ষন সকলকে অহিংসার পথে চলার নির্দেশ দেন তিনি।
এই রূপ মন্তব্যকে মানুষ কি রূপে গণ্য করবে চক্রান্ত নাকি সরকারের অক্ষমতা?