শরদ পাওয়ারের রাষ্ট্রমঞ্চক বৈঠকে কি আমন্ত্রণ করা হয়নি তৃনমূলকে?
ডেস্ক: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এক রাষ্ট্র মঞ্চের বৈঠক আয়োজন করা হয় আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার। সেখানে উপস্থিত থাকে চলেছে আম আদমি পার্টি র সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আরজেডি র প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেখানে থাকছে না বাংলার রাজ্য সরকার অর্থাৎ তৃণমূল।
এই বৈঠককে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় বিকল্পের সূচনা হিসাবে মনে করেছেন বেশ কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবং এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পনেরোটি ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। কিন্তু বিজেপির অন্যতম মুখ্য বিরোধীদলের মুখপাত্র উপস্থিত নেই কেনো?
এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে! তাহলে কি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তৃণমূলকে? নাকি তৃণমূল অন্য কোনো কারণবশত উপস্থিত থাকছে না সেখানে? তবে জানা যায় সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না তিনি।
এই খবরটি সামনে আসায় নানা রকম কানাঘুষো শোনা যায়। যেখানে একটা বিষয়ের কোনো রকমভাবেই ব্যাখ্যা মিলছে না, আমন্ত্রণ পেয়ে তৃণমূলের তর কোন প্রতিনিধি থাকছে না কেন এই বৈঠকে? তাহলে কি অন্য পন্থায় বিশ্বাসী?
2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্ব-অনুপ্রেরণায় মোদি বিরোধী একটি ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। যদিও সেসময় উত্তরপ্রদেশ উপ-নির্বাচন এই কিছুটা বেসামাল হয়েছিল গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু সেই সময় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এবং দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে নরেন্দ্র মোদী। আর ঠিক সেইসময় ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের হুজুক তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সংঘ ও দিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর রাও। পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যেখানে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পাওয়ার জন্য অনেকেই রব তুলে ছিল। কিন্তু সেখানেই শুরু সেখানেই শেষ এখনো পর্যন্ত ফেডারেল ফন্টের অংকুর বট বৃক্ষে পরিণত হতে পারেনি।
আবার এইসবের মধ্য থেকেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানান, “এই সব নাটক আমরা অনেকদিন ধরেই দেখছি। এই ফ্রন্ট ওই ফ্রন্ট অনেক হয়েছে। মোদি ফ্রন্টই একমাত্র থাকবে। কংগ্রেস, সিপিএমও ধীরে ধীরে আঞ্চলিক দল হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল”।