ডেস্ক: মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণা হয়েছে। গতকাল তৃতীয়বার সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন নরেন্দ্র মোদি । NDA জোটের সঙ্গে বৈঠক এখনও বাকি, তার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের পৌঁছন মোদি। সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী, আগামী শনিবার তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন। নতুন মন্ত্রিসভার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মোদিকে দায়িত্ব সামলানোর অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। তিন-তিন বার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নেহরু। মোদির তাঁকে ছুঁয়ে ফেলা নিয়ে আগেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এবছর নির্বাচনী প্রচার চলাকালীনও সেই প্রসঙ্গ ওঠে। সেই সময় মোদি জানান, একসময় গুজরাতের দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তাঁকে নিয়ে চর্চা হতো। কতবার পদে বসছেন, তার পরিবর্তে দেশ কতটা এগিয়েছে, সেই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। মোদির বক্তব্য় ছিল, “মোদি তিনবার কেন, পাঁচ-সাতবারও জিততে পারে। ১৪০ কোটি মানুষের আশীর্বাদ রয়েছে আমার মাথার উপর।”
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে, যা ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সরকার গড়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। সবমিলিয়ে NDA জোট পেয়েছে ২৮২টি আসন। ফলে সরকার গঠনে ৩২টি আসনের জন্য শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। বিশেষ করে নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নায়ডু কিংমেকারের ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃতীয় বার যে তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে NDA, মঙ্গলবার রাতেই তাতে সিলমোহর দেন মোদি। নির্বাচনী ফলাফলকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের জয় বলে উল্লেখ করেন। এর পর শেষ বার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক সারেন। তবে তৃতীয় বার মোদি সরকার গঠন করলেও, সেখানে নীতীশ এবং নায়ডুকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন তাঁরা।