সোমবারের টিকাকরণের রেকর্ডের ধারের কাছেও আসতে পারলো না মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান, এতটা তফাতের কারণ কি?

ডেস্ক: গত সোমবার বিশ্ব যোগ দিবসের নতুন রেকর্ড তৈরি করল দেশের টিকাকরণ ব্যবস্থা। ঐদিন গোটা দেশের প্রায় 84 লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়। কিন্তু রাত পেরোতেই মঙ্গলবার টিকাকরনের যে পরিসংখ্যান সামনে আসে তা সোমবারের ধারের কাছেও আসতে পারেনি। মঙ্গলবার এক ধাক্কায় টিকাকরণ মানুষের সংখ্যা নেমে আসে 53 লাখে। সোমবারের সেকরের প্রশংসা করে একটি টুইট ও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কিন্তু পরের দিনেরই গরমিল পরিসংখ্যানের প্রশ্ন তোলে বিশেষজ্ঞরা। তাহলে শুধুমাত্র যোগা দিবসের জন্যই কি এত চমক ধমক।

সূত্রে জানা যায় বিগত বেশ কিছুদিন ধরে যে হারে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল সোমবারে আচমকা ভাবেই সেটি এক ধাক্কায় বেড়ে যায়। ওই দিন থেকে শুরু হয়েছে দেশের নতুন ভ্যাকসিন নীতি, যেখানে রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রের আশ্বাস অনুযায়ী যদি চলতি বছরের মধ্যে গোটা দেশের সকল মানুষকে পূর্ণ ভ্যাকসিন দিতে হয় তাহলে প্রতিদিন অন্তত পক্ষে 97 লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিনেট করতে হবে। সোমবারের টিকাকরণের পরিসংখ্যানের কারণে আশার আলো দেখে দেশবাসী। কিন্তু 24 ঘন্টা ফারাকেই টিকাকরনের এতটা তফাৎ বেশ সন্দেহজনক।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অনেক রাজ্যই ভ্যাকসিন না দিয়ে জমিয়ে রেখেছিল সোমবারের জন্য। এবং যেসব রাজ্যগুলির মধ্যে অভিযোগ ওঠে সেই দশটি রাজ্যের মধ্যে সাতটিই বিজেপি শাসিত রাজ্য।

এর মধ্যে অন্যতম সন্দেহের তালিকায় মধ্যপ্রদেশ। যেখানে সোমবার ওই রাজ্যে 17 লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল সেখানে মঙ্গলবার সেই ডোজের পরিসংখ্যান নেমে আসে মাত্র 5 হাজারে। শুধু তাই নয় আগের দিন অর্থাৎ রবিবার সারা দিনে মাত্র 4 হাজার মানুষ টিকাপ্রাপ্ত হয়।

তাহলে শুধুমাত্র সোমবারের জন্য এত ভ্যাকসিন এলো কোথা থেকে? যদিও এ ধরনের প্রশ্নের তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না রাজ্য মন্ত্রী বিশ্বাস সারং। তিনি জানান, সঠিক তথ্য নথিভুক্ত হয়নি বলেই কোনো কোনো দিন কম টিকাকরণের হিসাব দেখাচ্ছে। এবং এও বলেন, “সোমবার তো সবার চোখের সামনে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের প্রশ্ন উঠছে দেখে আমি স্তম্ভিত”।