ডেস্ক: পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি তথা পিএসি র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিধায়ক মুকুল রায়। সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন মুকুল রায়। ইপদ নিয়ে বিতর্কে জল গড়িয়েছে অনেকদূর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এরপর নিজেই পদত্যাগ করলেন মুকুল রায়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের গেরুয়া শিবির দিয়ে জয়ের পর হঠাৎই পুরনো শিবির তৃণমূলে ফিরে যান মুকুল রায়। যা নিয়ে নানারকম মতামত পেশ করেছিলেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন হলেও বিধায়কের চেয়ার ছেড়ে দেননি মুকুল রায়। ফলত পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকেই নিযুক্ত করা হয় রুলিং পার্টির পক্ষ থেকে।
আর এটারই বিরোধিতা চলে আসছে বহুদিন যাবৎ। তাই সব বিতর্কে রীতি করে শারীরিক অসুস্থতার জন্য পদত্যাগ করছেন বলে জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কে ইমেল করেন মুকুলবাবু। তবে এরপর কাকে পথে নিয়ে আসা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রে খবর, মুকুলের বিষয়টি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তরের প্রভাব থাকতেও পারে।
এই ঘটনার পরই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা গোটা দলের পরাজয় বলে মনে করি। এই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকেন বিরোধী দলের বিধায়ক। ‘ বিজেপি নেতার দাবি, জোর করেই পদ নেওয়ার চেষ্টা করছিল শাসক দল। সে ক্ষেত্রে যে হার হয়েছে তা অবশেষে মেনে নিতে হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মনে করেন, হয় চাপের মুখে ইস্তফা দিতে হয়েছে অথবা এটা কোনো নাটকের প্লট।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এখনো চিঠি আসেনি। যদি সচিবালয় এসে থাকে তাহলে তারা আমায় জানাবে। দেখব চিঠিটি আইনগত ভাবে ঠিক আছে কিনা। যদি আইনগত ঠিক থাকে তাহলে গ্রহণ করব আর ঠিক না থাকলে তা গ্রহণ করা হবে না। গ্রহণ করা বা না করা স্পিকারের বিবেচনাধীন।