ইয়াসের প্রভাব শুরু হয়েগেছে, রাতভর পাহারা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন মমতা

ডেস্ক: ইয়াসের (yaas effect in west bengal) প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। সোমবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। কলকাতায় এর প্রভাব কম থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর (East Mednapore) জেলা ভেসে গেছে একদিনের বর্ষায়।

সোমবার রাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়। যার ফলে কোমর অবধি জল জমে বিভিন্ন জায়গায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বৈদ্যুতিক তার। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

আরও পড়ুন: বুধবার দুপুর থেকেই শুরু হবে তান্ডব, আতঙ্কে দিন গুনছেন সাধারণ মানুষ

একেই লকডাউন তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জীবনযাত্রা কঠোর হয়ে পড়ে মেদনীপুর (East Mednapore) বাসীদের।

প্রবল চাপে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা

দীঘা (Digha) তাজপুরের ও তার আশেপাশে গ্রামগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করে দেয়। অনেক গ্রামে কংক্রিটের বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে যায়। অধিকাংশ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রিলিফ সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।

অধিক বৃষ্টিপাতের (yaas effect in west bengal) ফলে সমুদ্রের জল উত্তাল হয়ে গ্রাম ভেসে পড়ে নোনা জলে। বর্তমান স্থিতি পর্যন্ত বাঁধগুলি অক্ষত কিন্তু প্রবল চাপ পড়ার ফলে সেগুলি খুব শীঘ্রই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কোলাঘাট ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে সেখানকার মানুষেরা। সেখানকার নদীর তীরবর্তী অঞ্চল গুলির বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গেছে কাল থেকেই। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন বর্তমান পরিস্থিতিতে তৎপর হয়ে এগিয়েছে এই কাজে।

আরও পড়ুন:বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, শিশুরাও হতে পারে আক্রান্ত

বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ায় 125 KVA এর দুটো জেনেটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগরা মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে মহাকুমা হাসপাতাল ও এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এ বিদ্যুতের ঘাটতি যাতে না হয় তাই এই বিশেষ ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। একটি পরিকল্পনা করেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মিহির দাস।

74 হাজার জন অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে

বিভিন্ন প্লাটফর্মে ট্রেন গুলি কে কয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে ট্রেন লাইনের সাথে বেঁধে দেয়া হচ্ছে ট্রেনের চাকা। বিধ্বংসী ঝড়ের কারণে ট্রেন গুলি গড়িয়ে মেইন লাইন উঠে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এদিকে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Benarjee) নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি নিজে নজরদারি রাখছে। 74 হাজার জন অফিসারকে নিয়োগ করেছেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন আমরা সারারাত পাহারা দেবো” এমনটাই আশ্বাস দিলেন নিজের রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব্লক স্তরে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে তিনি জানান। পূর্ণিমার ভরা কোটাল থাকায় সমুদ্র বেশি উত্তাল হতে পারে এটাই আশঙ্কা করছেন তিনি।

সুন্দরবন অঞ্চলের আশেপাশে ড্রোন দিয়ে নজরদারি রাখা হচ্ছে

রাতের ঘুম উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Benarjee) সকাল থেকে ছুটে চলেছেন নবান্ন থেকে উৎপন্ন। 24 ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে উপান্নে। দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নাম্বার-1070 এবং 033-22143526

যেহেতু উপকূলীয় অঞ্চল গুলি ইয়াসের কারণে বেশি প্রভাবিত হবে তাই সুন্দরবন অঞ্চলের আশেপাশে ড্রোন দিয়ে নজরদারি রাখা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের (yaas effect in west bengal) কারণে সুন্দরবনের বনাঞ্চল গুলি ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। বনদপ্তরের বিট অফিস ও ক্যাম্প অফিসে কর্মরত বনকর্মীরা এবারে অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যরকম বন্দোবস্ত রেখেছেন।

 

আরও পড়ুন: অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং থাইল্যান্ড থেকে আনলো 15 কোটি লিটার অক্সিজেন

ঘূর্ণিঝড়ের (yaas effect in west bengal) কারণে বন্যপ্রাণী যাতে গ্রামাঞ্চলে ঢুকে না আসে সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রেখেছে তারা। গ্রামের লাগোয়া জঙ্গল গুলিতে লাগানো হয়েছে নাইলনের জাল বা ফেন্স।

কুলতলি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির (cyclone yaas effect in west bengal) দিক মাথায় রেখে অরণ্যপ্রহরী নামের একটি বোট মোতায়েন থাকবে। সেই বোর্ডে থাকবে 18 জন সদস্য। ফেন্স যদি ভেঙ্গে পড়ে যায় সেগুলি সাথে সাথে মেরামত করবে তারা।

আরও পড়ুন: লকডাউন তোয়াক্কা না করে আকাশপথে বিয়ে সারলেন এক নব দম্পতি