দেশের কাজ ফেলে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন : অধীর রঞ্জন চৌধুরী
ডেস্ক. গণতন্ত্র ধ্বংস করে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন। সংযুক্ত মোর্চার ওপর মানুষের ভরসা বাড়ছে। পাশাপাশি বিজেপি নাবালক হয়ে পড়ছে। সব বিষয়ে বিজেপি-র নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা-র রাজ্যে প্রচারে আসতে হচ্ছে। বিজেপি কবে সাবালক হবে? কলকাতা প্রেস ক্লাৱে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ভাবেই একযোগে তৃণমূল ও বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “দেশের কাজ ফেলে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাবে রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে তাতে মনে হচ্ছে মোদী, শাহ স্ট্রিট কর্নার করতেও পারেন। ছত্তীসগঢ়ে সেনা জওয়ান মারা যাচ্ছেন, সেদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও নজর নেই।”
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বুধবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “তৃতীয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাংলার নির্বাচনে এতদিন একটা জিনিস নজরে আসেনি। এবার প্রতক্ষদর্শী হয়ে দেখতে পাচ্ছি কী ভাবে বিজেপি তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে নেমেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সবাই নির্বাচনী প্রচারে নেমে যে ভাষায় কথা বলছেন তাঁদের ওপর বাংলা ভরসা করবে? মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন, তিনি গালাগাল করছেন, প্রধানমন্ত্রী তিনিও গালাগাল করছেন। তাঁদের দুর্বোধ্য ভাষা মানুষ বুঝতে অপারছেন না। এভাবেই কেউ বলছেন , “বাংলা তার মেয়েকেই চায়”, কেউ বলছেন, “সোনার বাংলা ” বানাবেন। তাই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, ভাষণে ‘খিস্তি’ বন্ধ করে ভাষার দিক থেকে সংযত হোন।”
অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলছেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমি কংগ্রেস করতাম ভাবতে লজ্জা লাগে”, আর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আবার সোনিয়া গান্ধিকে দিন চিঠি লিখে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহাজ্য চাইতে হচ্ছে।”
সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেডের সমাবেশের পর থেকেই রাজ্যে মানুষ সংযুক্ত মোর্চার ওপর ভরসা বাড়িয়েছে সেটা এদিন অধীরবাবু স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমাদের ব্রিগেডে মানুষ নিজেদের টানে এসেছিলেন। আর বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এনেও সভায় ভিড় করতে পারেননি।”
এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ -র পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আজ গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছেন। ৩৪% আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন করতে দেননি । ২০ হাজার আসনে বিনা লড়াইয়ে তৃণমূল জিতেছে। ৮০ জন একদিনের নির্বাচনে মারা গেছেন। বিজেপি ও তৃণমূল সংযুক্ত মোর্চার নামে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ করে নির্বাচনের ময়দান থেকে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। সেটা পারে নি। সংযুক্তপ মোর্চার পাশে মানুষ নিজের তাগিদেই এসে দাঁড়াচ্ছেন। সংযুক্ত মোর্চা এগোচ্ছে, শক্তি হারাচ্ছে তৃণমূল, বিজেপি।”