লিলুয়া ভাগাড় এলাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির

ডেস্ক : আজ হাওড়া সিটি পুলিশ এর উদ্যোগে লিলুয়া থানার পরিচালনায় লিলুয়া থানা এলাকায় হাওড়া কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাগাড় বলে একটি অঞ্চল আছে। যেখানে বসবাস করেন অতি দরিদ্র সম্প্রদায়ের তপশিলি, ও নিম্ন বর্ণের মানুষরা তাদের জীবন জীবিকা হল শুয়োর পোষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাফাইয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত এরা এই মানুষগুলো যেখানে বসবাস করেন তার পাশেই রয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সারা হাওড়া এবং হাওড়ার বাইরের ও পচনশীল এবং অপ্চনশীল গার্বেজ এনে এখানে মজুদ করা হাওড়া কর্পোরেশনের বড় বড় ডাম্পার গাড়ি করে এখানেই মজুদ করা হতো গারবেজ তার ফলে এই অঞ্চলটি গার্বেজ জমে জমে বিশালাকার পাহাড়ের রূপ নেয় এই গারবেজের তলায় গ্যাস জমে যাওয়াতে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় আগুন ধরে যায় এবং বর্ষার সময় ওই গারবেজ বৃষ্টিতে ধস নেমে মানুষের বাড়িতে পচা জল ও পচা গার্বেজ উভয় ঢুকে যায় তখন ওই অঞ্চলের মানুষদের নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় দিনের পর দিন।

পরিবেশ হয়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর এভাবেই ওই অঞ্চলের মানুষদের দিন যাপন চলছিল আজ হাওড়া সিটি পুলিশের ত্ত্বাবধানে এবং লিলুয়া থানার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো একটি স্বাস্থ্য শিবির এই স্বাস্থ্য শিবিরে ওই অঞ্চলের মানুষদের দাঁত চোখ ও মহিলাদের গাইনো সংক্রান্ত এবং পুরো স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

এই স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আট নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং উত্তর হাওড়ার বিধায়ক এবং আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং প্রধান অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলার সদরের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। তিনি জানালেন যে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই স্তুপাকার গারবেজকে সমতল ভূমিতে পরিণত করে এখানে একটি বায়োমাইনিং পদ্ধতি করে প্রজেক্ট করা হবে সেই প্রজেক্ট দু-তিন বছর সময় লাগবে সম্পূর্ণ হতে কিন্তু এই প্রজেক্ট এর ফলে পরে ওই অঞ্চলের মানুষদের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়ের উন্নতি হবে তিনি আরো বলেন এই স্বাস্থ্য শিবির আজকে একদিনের জন্য নয় ওই অঞ্চলে একটি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘর রয়েছে সেখানে সারা বছর ওই অঞ্চলের মানুষরা বিভিন্ন রকম চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

কিন্তু ওখানকার স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য এই প্রজেক্ট এর কথা তারা বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকে এবং বর্তমান সরকারের সময়ও এই প্রজেক্ট কথা শুনে আসছেন দু তিন বছর আগেও প্রশাসনের ও হাওড়া কর্পোরেশনের অফিসাররা থেকে একবার মাপ ঝোপ ও করা হয়ে ছিল তারপর তার আর কোন পরিকল্পনার
পদ্ধতি তাদের চোখে পড়েনি।

যেহেতু ওই ভাগাড়ের গার্বেজের নিচের সমতল ভূমির চারিদিকে দীর্ঘদিন ধরে কয়েক পুরুষ ধরে তাদের বসবাস তাই তারা এই প্রজেক্ট যদি শুরু হয় তারা তাদের পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন তাদের সামান্য আয় করে দিন গুজরান করেন তাই নিয়ে তারা ঘোর চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তারা মনে করেন সরকার যদি ভাগাড় অঞ্চলের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নের কথা ভাবেন তাহলে তারা উপকৃত হবেন বলে জানালেন ভাগার অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *