বড়ো ভাঙ্গন বিজেপিতে, মালদার 300 জন বিজেপি সমর্থক হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের পতাকা
ডেস্ক: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পলিটিক্স হিন্দি সিনেমার গান “ইধার চলা ম্যা উধার চলা…”র মত পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে। যেখানে কে কখনো কোন দলের অনুগামিতে পরিণত হচ্ছে তা বোঝা বেশ কঠিন।
কখনো মা মাটি মানুষের স্লোগান গাইতে শোনা যাচ্ছে। কখনও আবার গেরুয়া শিবিরে নিজদের নথিভুক্ত করে “নমো! নমো!”রব তুলছে।
এই তো বেশ ক’দিন আগে এ দল ও দল করে শেষমেষ পুরনো দলের অনুরাগী হলেন মুকুল বাবু।
আবার অন্য দিকে মমতা দিদির খাস মানুষ এখন তার বিরোধী দলনেতা হয়ে রণক্ষেত্রের ষড়যন্ত্র তৈরি করতে ব্যাস্ত।
এরই মধ্যে আবার এক নতুন ঘটনা সমানে এলো যেখানে তিনশো’র ওপর বিজেপি কর্মী এবারে যোগ দিলেন তৃণমূলে।
বলাই বাহুল্য একটি বড়সড় ভাঙ্গন বিজেপির। মালদার হরিশচন্দ্রপুরের দুই পঞ্চায়েত সদস্যসহ 300 এবারে হাতে তুলে নিলো তৃণমূলের পতাকা। এবং তাদের সাথে যোগ দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার পর্যবেক্ষকও। এই চোদানী ফলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ জাহির করে তারা একে একে যোগ দিলেন তৃণমূলে। বেশ কিছুদিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবারে হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির আরও দুই সদস্য বাবুয়া হরিজন এবং লালু ওরাও যোগ দিলেন তৃণমূলে।
সেইসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার ব্লক সভাপতি অভিজিৎ কর্মকার এবং বিধানসভার পর্যবেক্ষক দীপক ঋষিও যোগ দিলেন একই সঙ্গে। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় অনুষ্ঠিত হলো এই যোগদান পর্ব।
যোগদানের সময় অভিজিৎ কর্মকার বলেন, “আজ আমরা প্রায় 300 জন তৃণমূলে যোগদান করলাম। বিজেপি আবর্জনার দল ওখানে থাকা যাবেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। মমতা আজ যেভাবে কাজ করছেন তাতে রাজ্যে আরো কুড়ি বছর তৃণমূল থাকবে”। তার কথায়, “ওরা বলছিল একুশের সাফ। দিদিকে সাফ করা গেল না। 26 এর নির্বাচনে জেলার 24 টি আসনই পাবে তৃণমূল।