বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা ব্যানার্জী

নিউস বেঙ্গল ডেস্ক:
২০মে ২০১১ ভারতীয় আইনবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী , তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পদ ধরে আছেন। এর আগে তিনি ইউনিয়ন ক্যাবিনেট মন্ত্রী সেবায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করেন , ১৯৮৮ এর পর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস থেকে এটি আলাদা হয়ে যায়, এবং এটির প্রথম সভাপতি হন তিনি। ওনাকে প্রায়ই ‘দিদি’ বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

তিনি জন্মগ্রহন করেন কলকাতার একটি বাঙালি হিন্দু ব্রাহ্মীণ পরিবারের মধ্যে। তার পিতা প্রমীলেস্বর ব্যানার্জী এবং মাতা গায়েত্রী দেবী। তার পিতার মৃত্যু হয়ে যখন তার বয়স ১৭। ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি রাজনৈতিকে যোগ দেন।

প্রাক্তন যুব কংগ্রেসের দলনেত্রী দু’বার প্রথম মহিলা রেল মন্ত্রী পদেও নিযুক্ত ছিলেন, এছাড়াও তিনি দ্বিতীয় মহিলা কয়লা মন্ত্রী, মানব সংস্থান উন্নয়ন মন্ত্রী, যুব বিষয়ে এবং ক্রীয়া, মহিলা এবং শিশু বিকাশ ভারতীয় সরকারের ক্যাবিনেট এ পদে নিযুক্ত ছিলেন।

প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী রাজীব গান্ধী, অটল বিহারি বাজপাই এনাদের সাথে তার সদয় সম্পর্ক ছিল রাজনৈতিক মহলে। ৩৩বছর বামপন্থী পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে তিনি তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেন।

অনেক বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এই লড়াই এ তার জয় হয়। রাজনৈতিক মাঠে তার পা শক্ত করে টিকিয়ে রাখার জন্য আরও দৃঢ় হন তিনি । নির্ভয়ে , স্বাবলম্বী ভাবে তিনি তার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। এমন কি প্রধানমন্ত্রীর সাথেও বিতর্কে যেতে তিনি ভয়ে করেন না। এক কথায় ওনাকে ‘ঝাঁসির রানী ‘ বললে ভুল হবেনা।

ভবানীপুরে ২০১১ থেকে ২০২১ পৰ্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার সদস্য ছিলেন। ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে অধিকাংশ সিটে তার পার্টি জয়ী হয়ে। ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে পার্টির জয় চারিত করেন।

তৃণমূল কংগ্রেস দল গড়ার পর তিনি আরও শক্তিসালী ও সুনিশ্চিত হন। সিঙ্গুর,নন্দীগ্রাম আন্দোলন তার অন্যতম প্রতিবাদী পদক্ষেপ ছিল। দুয়ারে সরকার ও দিদির দূত এর মাধ্যমে তিনি বাংলার প্রত্যেক মানুষের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছেন, এছাড়াও তিনি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষীভান্ডারের এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মহিলাদের অনেক সাহায্য করেছেন।

তিনি একজন সুদক্ষ রাজনীতিবিদের পাশাপাশি একজন ভালো চিত্রশিল্পী , গীতিকার। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি আজ এক সফল রাজনীতিবিদ। বিশ্ব বাংলা আজ গর্বিত অগ্নিকন্যা দেশনেত্রীর প্রতি । ২০২৪ এর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মুখ আশা করা যায়।