জলের তলায় ডুবতে চলেছে রাজ্যের পাঁচটি জেলা, ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ

ডেস্ক: চলছে এক টানা বৃষ্টি আর নিম্নচাপ। যার কারণে কলকাতা সহ একদিক জেলার বহু অংশ ডুবেছে জলের তলায়। আবার একাধিক জায়গায় ভয়ানক জলের চাপ সহ্য করতে না পেরে জল ছাড়া শুরু করে রাজ্যের একাধিক জলাধার। ফলে সৃষ্টি হয় বন্যার। আশ্বিন মাসেও ভরাডুবির আশঙ্কা রাজ্যের পাঁচ জেলায়।

হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলায় জল অতিরিক্ত বাড়তে থাকায় জেলাগুলি ডুবতে পারে এমনটাই আশঙ্কা নবান্নের। একেই প্রবল বৃষ্টি তারপর ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হচ্ছে জেলাগুলি। আর সেই কারণেই পাঁচটি জেলার ডিএমকে সতর্ক থাকতে বললেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জেলাগুলিতে দিয়েছেন চিঠি। সেই মতোই দুর্গত এলাকায় পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এনডিআরএফ এর টিম।

অন্যদিকে আবারও ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “ঝাড়খণ্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের রাজ্যকে ফল ভুগতে হচ্ছে। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করছে না। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করলে আরও জল ধরে। এভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমি। বৃষ্টির জন্য বন্যা হলে বুঝতাম৷ কিন্তু বন্যা হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য৷”

পাশাপাশি বললেন, “এটা ম্যান মেড ফ্লাড। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাত তিনটের সময় না জানিয়ে জল ‌ছেড়েছে ডিভিসি৷ সেই জন্যই বন্যা হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলা পুরো ডুবে গিয়েছে, বর্ধমান ভাসছে। ওই জল আসছে হাওড়া-হুগলিতে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রীদের। সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার বাঁকুড়ায় থাকবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মলয় ঘটক আজ ও কাল থাকবেন পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায়। ফিরহাদ হাকিম, বেচারাম মান্না দেখবেন হুগলী জেলার পরিস্থিতি। হাওড়ার পুরোটা এবং হুগলির কিছুটা বন্যা পরিস্থিতি দেখবেন পুলক রায়। এবং মেদিনীপুর দেখবেন মানস ভুঁইয়া।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামীকাল আকাশপথে সমস্ত জেলার বন্যা পর্যবেক্ষণ করে দেখব খোদ তিনি।