মাধ্যমিক পরীক্ষা অগ্রাহ্য করে হাওড়ায় উচ্চরবে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে বসন্ত উৎসব পালন করছেন নেতারা
![Ignoring the secondary examination, the leaders are celebrating the spring festival by playing loud sound boxes in Howrah](https://newsbengal.com/wp-content/uploads/2022/03/Ignoring-the-secondary-examination-the-leaders-are-celebrating-the-spring-festival-by-playing-loud-sound-boxes-in-Howrah.jpg)
ডেস্ক;মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার্থীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে। এর মধ্যে বড় বড় বক্স বাজিয়ে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠলেন হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাতের এই অনুষ্ঠানের গান এবং উদ্দাম নৃত্যের ছবি ভাইরাল হওয়াতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন এই অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অসুবিধা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত বসন্ত উৎসব উপলক্ষে জলসা হয় হাওড়ার সুরকিকল এলাকায়। হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে এই জলসার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সাংসদ নিজেই। সন্ধ্যের পর বড় বড় বক্স বাজিয়ে একের পর এক হিন্দি ফিল্মের গানের সঙ্গে নাচতে থাকেন শিল্পীরা। স্থানীয় মহিলারাও গানের তালে তালে নাচতে থাকেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ নিজে। অথচ ওই এলাকায় একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সেই সময় পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিল। ওইসব পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন শনিবার জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রস্তুতিতে তাদের অসুবিধা হয়েছে। শেষমেষ দরজা-জানলা বন্ধ করে কোনরকমে তারা পড়াশোনা করে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সাংসদের এই আচরণ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব অভিযোগ করে উদ্দাম নাচ গানের ফলে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হয়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাংসদ যেভাবে অনুষ্ঠান করেছেন তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে যাওয়ার কারণে তারা কোন বাধা দেয়নি বলে বিজেপির আরও অভিযোগ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে সাংসদের বক্স বাজানো উচিত হয়নি। এতে তাদের ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষার সময মাইক বাজানো নিয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে চলা উচিত ছিল। যারা আইনের রক্ষক তারাই আইন ভাঙছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও গোটা ঘটনাটি ভালো চোখে দেখছে না। সাংসদের এহেন আচরণের কঠোর সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক শ্যামল মিত্র বলেন প্রশাসনের নির্দেশ আছে পরীক্ষার সময় মাইক না বাজানো। তা সত্ত্বেও সাংসদ যেভাবে কাজটা করেছেন সেটা করা ঠিক হয়নি। সরকার বা দল কখনো এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না।