Bangladesh: এটি পূর্ব পরিকল্পিত দাঙ্গা, বিশেষ কিছু কারণে চালনো হয়েছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি, দাবি বাংলাদেশী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ডেস্ক: অষ্টমীতে ভাসান হলো প্রতিমার। তবে ভারতে নয়, বাংলাদেশে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার যথার্থ উদাহরণ 2021 এর দুর্গোৎসবকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে অস্থায়ী পুজো মন্ডপকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা। তারা অভিযোগ তোলে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরানকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা রেখেছে হনুমানের পায়ের নিচে। যা অপমান জনক। এবং এই অভিযোগ তুলেই তারা বাংলাদেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী 80 টির ওপর মন্দির ও মণ্ডপ ভাঙচুর করে।

নিহত হন বেশ কিছু জন ব্যক্তি। জ্বালানো হয় স্থানীয় কালি মন্দির। সাম্প্রদায়িক এমন দাঙ্গা মানব সমাজের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এরম উদাহরণ ভারতেও দেখা গেছে, যেখানে সংখ্যা লঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ব্যক্তিদের ওপর অকারণ নির্যাতন চালিয়েছে কিছু কট্টরপন্থী হিন্দু ধর্মান্ধ ব্যক্তিরা।

সুতরাং কোনো সম্প্রদায়কে দোষ দেওয়াটা একেবারে সঠিক না। উভয় সম্প্রদায়েই নোংরা মানসিকতার কিছু মানুষ থেকেই থাকেন, যারা সমাজকে উত্তপ্ত করে খুশি হন। দ্বিতীয়ত, কোনো দেশেই যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তারা কি সেধে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন? দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে ধর্ম গ্রন্থ কোরান এর কি প্রয়োজন?

এই প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং দিলেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানালেন, বাংলাদেশে এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ও প্ররোচনামূলক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করাই ছিল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য। এর নেপথ্যে কারও কায়েমি স্বার্থ রয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ প্রশাসন।

তাঁর আরও দাবি, এই হামলার নেপথ্যে কোনও তৃতীয় পক্ষের উস্কানি রয়েছে। হিংসার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রমাণ পেলেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলছে পুলিশি তদন্ত।

সংবাদ সূত্রে খবর, শুক্রবার বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানার পুলিশ। বহু অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক দুষ্কৃতীদের।