এক জায়গা থেকে দাঁড়ান, মমতাকে চ‍্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

ডেস্ক. পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের জনসভা করতে এসে নন্দীগ্রাম থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি ভবানীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নিজে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথাও বলেন। যা নিয়ে মঙ্গলবার খেজুরিতে পাল্টা সভা করে একাধিক ভাষায় মমতাকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।

শুভেন্দু প্রকাশ‍্য মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “নন্দীগ্রামে আপনি বললেন নন্দীগ্রামে দাঁড়াবো। হ্যাঁ দিদিমনি আপনাকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। দু’জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না। নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে। আমি বিজেপি করি বিজেপির প্রার্থী মঞ্চে দাঁড়িয়ে হয়না।

তৃণমূলের প্রার্থী মঞ্চে হয় কারণ ওটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির দিদিমণি ও তার তোলাবাজ ভাতুষ্পুত্র তারা যাহা বলিবেন তাহাই তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির আইন, নীতি ইত্যাদি। আপনি কার ভরসায় দাঁড়াবেন বলছেন? হিসাবটা আমার কাছে আছে গ্রামগুলো আমি চিনি। ৬২হাজারের ভরসায়? আর পদ্ম জিতবে ২লাখ তেরোর ভরসায়।”

পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরো কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূল লকডাউনের চাল চোর, আমফানের টাকা চোর, আর এখন করোনার টিকা চোর। বড় বোন ছোট বোন যাইহোক দুটো জায়গায় আমরা আপনাকে দাঁড়াতে দেব না। নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে হবে আর এখন থেকে প্রাক্তন এমএলএ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটারহেড প্যাড চাপিয়ে রাখতে হবে।”

এদিন শুভেন্দুর সভায় যোগদান করতে আসার পথে আক্রান্ত  হতে হয় বিজেপি কর্মীদের। সেই ঘটনায় শুভেন্দু হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি রবিবার অব্দি পুলিশ প্রশাসনকে সময় দিচ্ছি। সোমবার নবারুণ বাবু আর অনুপ বাবুকে নিয়ে আমি তমলুকের এসপি অফিসের সামনে বসে থাকবো।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এত মিথ্যা কথা বলছেন তাই বিজেপি সরকার আসবে এবং মিথ্যাশ্রী পুরস্কার আমরা দেব।

প্রথম পুরস্কার পাবে মমতা ব্যানার্জি আর একটা তোলাশ্রী পুরস্কার হবে সেটা পাবে ওর ভাইপো তোলাবাজ অভিষেক ব্যানার্জি।” সোমবারের মমতার সভা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ওই সভাটাকে আমি হায়দ্রাবাদের পার্টি আসাউদ্দিন ওয়াসির সভা বলে মনে করি। নন্দীগ্রামে আমরা তৃণমূল- কংগ্রেস নেত্রীকে দেখলাম উদভ্রান্ত। তিনি রাজনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্থ। তিনি প্রথমে কোন জায়গায় সভা করছেন সেটা তিনি নিজে জানেন না। কারণ পাঁচ বছর অন্তর ভোট এলে নন্দীগ্রামের কথা তার মনে পড়ে।”

পাশাপাশি এদিনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় একাধিক ভাষায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “আমি বলছি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৬ হাজার ভোটে হারবেন। যদি মমতা ব্যানার্জি একমত না হন উনি গুনে দেখে নিন। দিদি ভবানীপুরে ভয় পেয়েছেন।” লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজকে আওয়াজ তুলেছে নন্দীগ্রাম মমতা তুমি বেইমান। ভয়ে ভবানীপুর থেকে পালিয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে আসছেন মমতা।

নিজের বুথে ৪৯৬ ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। বুথের গর্ব হতে পারেনি বাংলার গর্ব কি করে হবে? আজকে কিছু ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়ানোর জন্য উনি নন্দীগ্রামে আসছেন। কিন্তু নন্দীগ্রাম এবার দিচ্ছে ডাক মমতার বাড়ি যাক।”
সবমিলিয়ে দিনের বিজেপির সভা থেকে নন্দীগ্রাম থেকে মমতাকে হারানোর ডাক প্রত্যেকের।