মশার লার্ভা জমা জলেই রান্না চলছে হোটেলে, পরিস্তিতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুর কর্তাদের

ডেস্ক: একদিকে মহামারীর সংক্রমন বাড়ছে দিন প্রতিদিন। অন্যদিকে ডেঙ্গির প্রকোপ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন্তার বিশেষ কারণ। ইতিমধ্যে বিধাননগর পুর এলাকায় অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গিতে। তাই মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন পুর কর্তারা। এবং সেখানের পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত পুর কর্তাদের। বিধাননগর করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের মিলল মশার লার্ভা।

শুধু সেখানেই সীমিত না, বাস স্ট্যান্ডের চারপাশেই এমন একাধিক আতঙ্কিত ও ঘৃনাত্বক দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। হোটেল গুলির রান্নার জলের ড্রামে কিলবিল করছিল লার্ভা। এবং সেই গুলোই ব্যবহার করে চলেছে হোটেল কর্মীরা।

বিধাননগর পুর নিগম এলাকায় চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত 37 জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল 25 জন। কিন্তু সেখানে শুধু অক্টোবর মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। ফলে দুশ্চিন্তায় বিধাননগর পুর নিগমের কর্তাদের।

বিধাননগর পুর নিগমের পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় এ দিন পরিদর্শনের পর জানান, ‘আমরা দেখেছি জমা জলে প্রচুর মশা। এখান থেকে বহু বাস ছাড়ে, ফলে পড়ে থাকা টায়ারে জল জমার সম্ভাবনা থাকে। এসে সেটাই দেখা গেল। এগুলোই ডেঙ্গি মশার আঁতুড়ঘর। দ্রুত পরিষ্কার জল করার কথা বলেছি।’

এ দিকে, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 20, যার ফলে জরুরি বৈঠকে বসেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যানসহ প্রসাশক মন্ডলী সদস্যরা। প্রত্যেক বছরই দেখা যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেই কারণে আজ জরুরি বৈঠকে বসেছেন পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান পুর প্রশাসক পাঁচু রায়।

গত বছর করোনারা প্রকোপের মাঝে ডেঙ্গি জ্বর খুব বেশি ছড়ায়নি। পাশাপাশি এটিও মনে রাখতে হবে, গত বার এত বেশি বৃষ্টিও হয়নি। ডেঙ্গি মশাবাহিত রোগ হওয়ার কারণে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্ম নেয় সবথেকে বেশি। ঠিক যে কারণে ডেঙ্গি থেকে বাঁচার জন্য জল যাতে কোথাও না জমে সে দিকে নজর দিতে বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই জল জমে একাকার পরিস্থিতি। তাই ডেঙ্গি নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *