ভ্যাকসিন সংকটের অভিযোগে, মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী

ডেস্ক: দেশে কোরোনা সংক্রমনের মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী তবে কিছু সূত্র জানায় যাচ্ছে প্রতিদিন সংক্রতের হার কমছে অল্প অল্প করে।
এ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বহু রাজ্য ভ্যাকসিনের পরিষেবা পাচ্ছে না। ফলে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বারবার কেন্দ্রের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছে “কেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন তারা সরবরাহ করছে না?”

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, “ভ্যাকসিনের যোগান বৃদ্ধির জন্য যা যা করণীয় সবই করছে কেন্দ্র। আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, টিকা করন প্রক্রিয়া চলবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন ভ্যাকসিনের অপচয় না হয়। ভ্যাকসিন অপচয় শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।”
তিনি আরো বলেন, “কোরোনা অতিমারির এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অনেক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করবে।”

দেশের দৈনিক কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যু-মিছিল। অন্যদিকে একাধিক রাজ্য সরকার অভিযোগ করেছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের যোগান নেই।

অন্যদিকে চাহিদা মেটাতে ভারত বায়োটিক নিজেদের ফর্মুলা অন্য নির্মাতা সংস্থা সাথে ভাগ করে নিয়েছে। এখন ভারত বায়োটেক ছাড়াও গুজরাটের একটি অন্য সংস্থা ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। এতদিন ভ্যাকসিন সংকটের অভিযোগে চুপ ছিল কেন্দ্র। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী জানালেন কেন্দ্র যথাসম্ভব চেষ্টা করছে।

গতকাল দিল্লি অভিযোগ করেছিল কেন্দ্র এ মাসের ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন দেবেনা জানায়। কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত টিকা না পেয়ে একাধিক রাজ্য গ্লোবাল টেন্ডারের পথে হেঁটেছে। তাদের মধ্যে ওড়িশা ও কেরালা অন্যতম।
গ্লোবাল টেন্ডারের চিন্তা ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও বাংলাতেও। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, তিন কোটি টিকার জন্য তার রাজ্য সরকার গ্লোবাল টেন্ডারের ডাকবে।