ওষুধের থেকে কোনো অংশে কম না সকলের প্রিয় পানীয় ‘চা’

ডেস্ক: লেবু চা-য়ে বিকেল কাটে! সিগারেট with চা-পানে আড্ডা জমে জেনো সে বাঙালি, চা-খোর বটে!! ঠিক এমনটাই চা নিয়ে ছন্দ চলে আসে বাঙালির মনে, শুধু বাঙালি কেন গোটা বিশ্ব চায়ের নেশায় মত্ত।

আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস। দিনটিকে উদযাপন করছে সারা বিশ্ব। চায়ের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। চা মানুষের অন্যতম প্রিয় পানীয়।
তবে যা শুধুমাত্র মন ভালো করে না ওষুধের কাজ করে এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এবং এই কথাটির সত্যতা যাচাই করে ইউনাইটেড নেশনস।

২০১৯ সালে ২১শে ডিসেম্বর ইউনাইটেড নেশনস আজকের দিনেটিকে অর্থাৎ ২১ শে মে দিনটি আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসাবে উদযাপিত করে।

একইভাবে ২০০৫ সাল থেকে ১৫ ই ডিসেম্বের তারিখটি পালন করা হয় আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসাবে।

বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় দূরে জুড়ে পাহাড়ি এলাকার চাষ হয়ে আসছে চা। ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়ায় এছাড়া বহু দেশ চা উৎপাদনে বেশ বিখ্যাত এসব দেশে উৎপাদিত গোটা বিশ্ব জুড়ে নজর কেড়েছে। চা উৎপাদনে ভারতের দার্জিলিং, আসাম, কেরালা ও হিমাচল প্রদেশ বিশ্ব বিখ্যাত।

  • চায়ের বিশেষ কিছু গুণাবলী

১. চায়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যেটি দূষণের ক্ষতির থেকে স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে সহায়তা করে এবং স্কিন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

২. চায়ে কফির তুলনায় ৫০% কম ক্যাফিন মজুত থাকে। কফি তুলনায় চা কম ক্ষতিকর কিন্তু উপযোগী।

৩. নিয়মিত চা পান হার্টের রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৫. গ্রিন টি হাড়ের ক্ষয়ন কমতে সাহায্য করে।

৬. ইমিউনিটি সিস্টেম স্ট্রং করে।

৭. ক্যান্সার থেকে লড়তে সাহায্য করে।

৮. আয়ুর্বেদিক চা শরীরের পাচনশক্তি বৃদ্ধি করে।

৯. স্ট্রেস কম করতে সাহায্য করে।

১০. শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ও মাথা ব্যাথা কমাতে এক কাপ চায়ে যথেষ্ট।

১১. জাপানের একটি রিসার্চে জানাজায় চা পানের ফলে দাঁত কম নষ্ট হয়।

পাহাড়ি অঞ্চলে কোনো কর্ম ব্যবস্থা না থাকায় ওখানকার মানুষদের তেমন কাজকর্ম হয় না। তাদের একমাত্র আশ্রয় চা বাগান। চা উৎপাদনে নিযুক্ত শ্রমিকরা একটি মাত্র কর্মক্ষেত্রকে ভরসা করে নিজেদের জীবন যাপন করছে।

আজকের দিনটি বিশেষত পালনের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকরণ। চায়ে বিক্রি করলে লাভবান হবে চা শ্রমিকরা। সারাবিশ্বে চায়ের চাহিদা বাড়লে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর দারুণ প্রভাব পড়বে। পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চা উৎপন্ন হয় কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে চা বাগানগুলো বন্ধ হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *