Sky Cruise: পাঁচ হাজার যাত্রী নিয়ে আকাশপথে ভাসতে চলেছে বিলাসবহুল হোটেল

ডেস্ক: বর্তমান প্রজন্মের বিজ্ঞান কতটা উন্নত হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় মানুষের বিলাসিতার মাধ্যমে। যাতায়াতের মাধ্যমকেও বিলাসিতায় সময় কাটানো জায়গায় পরিবর্তন করছে টেকনোলজি। এতদিন জলপথে ক্রুজের মাধ্যমে আমোদের চল ছিল। কিন্তু এই দিন বেশি দূর না যখন মানুষ আকাশ পথে চলমান অবস্থায় ছুটি কাটাবেন।

এখনো পর্যন্ত বিমান ব্যবহৃত হতো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য। আবার প্রাইভেট বিমানে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ ছিল লাস ভেগাসে। তাতে শুধু আপনি ও আপনার সঙ্গী সফর করতে পারবেন। কিন্তু এবার এই নতুন ধারা ও উঠে এলো যাতে বদলে গিয়েছে ভাসমান হোটেল এর চিত্রটা। দৈত্যাকার বিমান তৈরি করা হয়েছে বিলাসবহুল হোটেল রূপে।

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে নতুন ভাসমান হোটেলের নকশা। ভাসমান হোটেলটিকে দৈত্যাকার বিমান বললেও খুব একটা ভুল হবেনা। স্কাই ক্রুজ নামক এই বিশাল বিমানটিতে লোক ধারণ করার ক্ষমতা প্রায় 5000। এটি শুধু বিমান হিসেবে নয় ব্যবহৃত হবে হোটেল হিসাবেও। এটি পারমাণবিক সংযোজন বা নিউক্লিয়ার ফিউশন দ্বারা চালিত হবে। একবার যদি বিমান উড়ান নেয় তবে বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত আকাশে ভেসে থাকতে পারবে, এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে এই দৈত্যাকার বিমানটিকে।

নতুন যাত্রীদের এই ভাসোমান হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধ হাজারের মতো ডোক ও থাকবে। সেখানে উঠা নামা করতে পারবে ছোট বিমানও। ওই বিমানের সাহায্যেও যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করা হবে। স্কাই ক্রজকে অনেকে নতুন টাইটানিক হিসেবে অভিহিত করছে। এই বিমানটি এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যাতে এটাকে কখনোই অবতরণ না করতে হয়। এইজন্যই দৈত্যাকার বিমানটিতে থাকছে কুড়িটি ইঞ্জিন। এই প্রতিটা ইঞ্জিনই চলবে পরমাণু শক্তি দ্বারা। যাত্রী ওঠানামা থেকে শুরু করে, বিমানের যান্ত্রিক সমস্যারও দেখাশোনা, সবই হবে আকাশ মাঝে।

ইন্টারনেটে ভাইরাল এই বিমানের আসল নকশাটা তৈরি করেছিলেন টনি হোমস্টোন। ওই নকশপের ভিত্তি করে বিমানের এই ভিডিওটি তৈরি করেছে হাসেম আলঘাইলি নামক এক ব্যক্তি। হাসিম আলঘাইলি জানিয়েছেন স্কাই ক্রজ হলো পরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যতের এক ঝলক মাত্র। এই বিশাল বিমানটি চালানোর জন্য প্রয়োজন নেই কোন পাইলটের। তবে বিমানের অন্যান্য কাজের জন্য নিযুক্ত করা হবে বিপুলসংখ্যক কর্মীদের। 5 হাজার যাত্রীর ভার বহনের সাথে সাথে এই বিমানের থাকছে রেস্তোরাঁ, শপিংমল, সিনেমাহল, সুইমিংপুল ও ইত্যাদি।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রজেক্টটি আদতে কতটা সফল হবে? কখনো কি তৈরি হবে বিমানটি? তৈরি হলেও কি কি পরিষেবা কিংবা সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকছে? তবে একথা স্পষ্ট এই দৈত্যাকার বিলাসবহুল চলমান বিমানে উচ্চবিত্তরা ছাড়া কারোরই যাওয়ার সাধ্য নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *