সরকারি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলে সিভিক ভলেন্টিয়াররা ক্লাস নেবেন ছাত্র ছাত্রীদের!

ডেস্ক: এবার থেকে সরকারি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলে সিভিক ভলেন্টিয়াররা ক্লাস নেবেন ছাত্র ছাত্রীদের! সরকার আবার দেউলিয়াও বটে! নিয়োগ করার দাবিতে যখন রাজ্য সরগরম, তখন নিয়োগ করলে বেতন, ডিএ দেবে কোথা থেকে সেটাও একটা ঝামেলা। তাই সরকার ফন্দি এঁটেছে, এক ঢিলে দুই পাখি মারার।

আসলে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের কারণে অভিবভাবকদের মনে দাবানলের মতো একটা ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে যে সরকারি স্কুলে পাঠালে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করা যাবেনা , যাদের ভরসায় পাঠাবে তারাই তো অযোগ্য এবং দূর্ণীতিগ্রস্ত্র , না শিক্ষা প্রদান করতে পারবে, না নৈতিকতার পাঠ পড়াতে পারবে।দেখুন আর ভাবুন কারা সরকার চালাচ্ছে ?আগামী প্রজন্মের ভবিষৎ কার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে?

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘স্কুলের পড়া শেষ হওয়ার পরে পড়ুয়াদের অঙ্ক ও ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হবে। এর জন্য জেলায় প্রায় ১৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে পড়াতে হবে, একটি সংস্থা তার প্রশিক্ষণ দেবে।” জেলার ৪৬টি স্কুল-সহ মোট ৫৫টি কেন্দ্রকে ওই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জঙ্গলমহলকে।

যদিও রাতে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমাদের কাছে মতামত চাওয়ার জন্য ওঁদের বলা হয়েছে। তার পর দেখা যাবে এটা চালু হবে কি না। এখন চালু করা যাবে না।’’

বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “বাচ্চাদের অঙ্ক, ইংরেজি শেখাবে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা— এর থেকে লজ্জার কিছু হয় না।”

শিক্ষার মান এত নিচে নামিয়ে দেওয়া যাক, যাতে সরকারি স্কুলে আর ছাত্র ছাত্রী ভর্তিই না হয়। তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি এমন সরকারকে, যে আগামী প্রজন্ম কে চাকরির পরীক্ষায় বসার যোগ্য না বানানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে শিক্ষার স্বার্থের সাথে যুক্ত সব মানুষকে একজোট হওয়া জরুরি এই সরকারের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *