জমা জলে কারেন্ট শক-এ মৃত্যু বারো বছরের কিশোরের! প্রশ্ন উঠল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায়

ডেস্ক: কলকাতার বুকে বহুবার বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর কবলে পড়েছে একাধিক মানুষ। কখনো দমদম কখনো রাজভবন কখন আবার বেহালার একের পর এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা। এবারেও হরিদেবপুরের এক ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার ওপর। 12 বছরের নাবালক বাতিস্তম্ভ ছুঁতেই লুটিয়ে পরে জমা জলে। তারপরেই শেষ হয়ে যায় সবকিছু। আধ ঘন্টা ধরে জলে পড়ে থাকে শিশুটির দেহ বাঁচানো যায়নি তাকে।

কিশোরের নাম নীতীশ যাদব। রবিবার রাত্রিবেলা পড়তে বেরিয়েছিল নীতীশ। গতকাল বৃষ্টির জেরে এক হাঁটু জল জমে ছিল হরিদেবপুরের রাস্তায়। জল ঠেলে ঠেলে বাড়ির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল সে। এরপরই পায়ে কিছু একটা লেগে যাওয়ায়, ল্যাম্পপোস্টে হাত দিয়ে নিজের পা দেখার চেষ্টা করে কিশোর। তৎক্ষণাৎ ছিটকে পড়ে জলের মধ্যে। ঘণ্টাখানেক পরে নীতীশ কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এরপরেই 13 নম্বর বোরো চেয়ারম্যান রত্না শূর সরাসরি তৃণমূল পরিচালিত ও বোর্ডের নিকাশি বিভাগের দিকেই আঙুল তুলে প্রশ্ন করেন, “জল জমার সমস্যায় বিপর্যস্ত ওই এলাকার মানুষ। নিকাশি বিভাগকে জানিও কাজ হয় না। কেআইআইপি কি কাজ করছে আমি জানিনা।নিকাশের বেহাল অবস্থা ওখানে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনায় নীতিশের মা বলেন, ওকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম রাস্তায় জল জমে গিয়েছে কি জানি না তো। কারেন্ট শক খেয়েছে। রোজ যায় পড়তে।আমাকে একজন বলছে ওখানে কার ছেলে পড়ে আছে। আমি বললাম এক্ষুনি তো আমার ছেলেটাকে পাঠালাম। ছুটে গিয়েছে আমি, তখন আর কাউকে যেতে দিচ্ছে না ওখানে সবাই ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় এক ঘন্টা পর লাইট অফ করেছে। তারপর ওকে সরিয়েছে। আমি জানিও না ও মরে গেছে না বেঁচে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *