বিজেপির সিক্রেট জেনারেল নামে আখ্যায়িত তুষার মেহেতা, তার ও শুভেন্দুর বৈঠকের ক্ষোভ জাহির করে তৃণমূল

ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী ও তুষার মেহেতার সাক্ষাতের বিষয় টা হজম করতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। যার কারনেই এই সাক্ষাৎ উঠেছে বিতর্কের তুঙ্গে। বঙ্গ বিজেপি-র ওপর চাপ বাড়াতে দিল্লি দরবারে অভিযোগ পেশ করতে তৎপর তৃণমূল।

দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার বাড়িতে সাক্ষাতের জন্য হাজিরা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তুষার মেহেতা জানেন, শুভেন্দু তো বাড়িতে এলেও সাক্ষাৎ হয়নি তাদের। একই দাবি শুভেন্দু ও করেন।

কিন্তু শুভেন্দুর এইভাবে দেহের সলিসিটর জেনারেল এ বাড়িতে আচমকাই পৌঁছে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছে না রাজ্যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং তুষার মেহেতার অপসারণের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতৃত্ব। বেলা সাড়ে 12টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। এবং প্রতিনিধি দলে থাকতে চলেছে লোকসভার সাংসদ মহুয়া মিত্র ও সুখেন্দুশেখর রায়। একইসঙ্গে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় এর বিরুদ্ধেও নালিশ জানতে চলেছেন তারা।

তুষার মেহেতার অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ও চিঠি পেরন করে তৃণমূল। এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে ইস্যু করে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি তার টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে জানান, “বিষয়টি নিয়ে 72 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দেশের সম্মানীয় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা তার বাড়ির কুড়ি মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে ব্যর্থ। যেটা কিনা তারই বলা মন্তব্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।

সম্মানীয় সলিসিটর জেনারেল আপনি নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়ে গেলেন। আপনি দেশের সলিসিটর জেনারেল নন বরং বিজেপির সিক্রেট জেনারেল।”

এছাড়াও তৃণমূলের বহু নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলে, শুভেন্দু অধিকারী কিভাবে বৈঠক করতে পারেন ভারতের সলিসিটর জেনারেল এর সাথে?