দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনার প্রকোপ

ডেস্ক. দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। দিন যত যাচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়িয়ে হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের গ্রাফচিত্রও। এই অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সরকারের। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে শুক্রবার পর্যন্ত চলতি বছরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে রেকর্ড হাঁকাল মারণ করোনা।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত চব্বিশ ঘন্টায় দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩১,৯৬৮ জন। গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭৮০ জন। যার ফলে আপাতত দেশে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৪২ জনের। যার ফলে গত পাঁচ দিনে এই নিয়ে চার বার করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড গড়ল ভারত।

এদিকে,গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯ হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই কম। যা রীতিমতন কাঁপুনি ধরাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৯৩। গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯ হাজার ২৯২ জনকে।

অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে দেশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বৈঠকে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকেই ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘টিকা উৎসব’-এর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টিকা উৎসব অভিযান পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব টিকাকরণ করা হোক।

পাশাপাশি মাস্ক পরা ছাড়াও সকলকে করোনা বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন মোদী। এখন আমাদের কাছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সব ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েও তিনি বলেন, আগের তুলনায় মানুষ এখন অনেক বেশি অসতর্ক হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে এখনই যে সম্পূর্ণ লকডাউনের দিকে দেশ হাঁটতে চাইছে না, সেকথাও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন নমো। তিনি জানান, মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের দিকে নজর দেবে সরকার। অর্থাৎ অত্যাধিক সংক্রামিত এলাকাগুলিকে কন্টেনমেন্ট জোন করে বিচ্ছিন্ন করার কথাই ভাবা হচ্ছে।

আমাদের কাছে এখন ভ্যাকসিন আছেন বলে জানিয়েও মোদী বলেন, টিকা নেওয়ার পরও সতর্ক থাকতে হবে। উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা মোকাবিলায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি করোনা কার্ফু বা নাইট কার্ফুও জায়গা পেয়েছে মোদীর কথায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও বিদেশে যে নাইট কার্ফু চলছে, এই ‘নাইট কার্ফু’ শব্দের বদলে ‘করোনা কার্ফু’ শব্দটি ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন মোদী।

করোনাকে রুখতে কোনোরকম গাফিলতি বা কোনোরকম ঢিলেমি দেওয়া যে চলবে না সে কথা এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।